প্যানগং হ্রদের দক্ষিণে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) পেরিয়ে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ে লালফৌজের জওয়ানকে অবশেষে ফিরিয়ে দিল ভারতয়ী সেনা। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ভারতীয় সেনার তত্ত্বাবধানে থাকার পর সোমবার সাকলে তাঁকে ফেরত পাঠান হয়। এর পেছনে ভারতের জমিতে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের সন্দেহ করেছিলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে অন্ধকারে পথ হারিয়ে ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল তাঁদের ওই জওয়ান। রবিবার এমন যুক্তি দেখায় বেজিং, সেই সঙ্গে আটক জওয়ানকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল চিন।
চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দাবি করে, দুর্গম পথ এবং অন্ধকার থাকার জন্য অচেনা এলাকায় পথ হারিয়ে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন জওয়ান। লাদাখে গুরুং হিল এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া জওয়ানকে দ্রুত তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল লাল ফৌজ।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, ৮ জানুয়ারি প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ দিকের এলাকায় রেজাং লা থেকে এক চিনা ফৌজিকে পাকড়াও করা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে তিনি ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানরা তাঁকে পাকড়াও করেন। সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল যাবতীয় প্রোটোকল মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিনা সেনাকেও সে বিষয়ে জানানো হয়েছে। অন্তর্জাতিক আইন ও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি মেনেই এই ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
গত বছর অক্টোবর মাসেও এক চিন সেনা ধরা পড়েছিল লদাখে। সেবারও দাবি করা হয়েছিল, পথ ভুল করে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়ে লৌলফৌজের সেই সদস্য। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষে ছেড়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। ২০২০ সালের জুনের লাদাখ সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাত মাস। কিন্তু আজও অধরা সমাধান সূত্র। এর মাঝেই গত বছর থেকেই একাধিকবার বিভিন্ন সীমান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছে চিনের সেনাবাহিনী। এমতাবস্থায় সঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ওই চিনা সেনারা ভারতে ঢুকছে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।