scorecardresearch
 

কেমন আছেন মুকুল জায়া? খোঁজ নিতে এবার ফোন স্বয়ং মোদীর

অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়ার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে ফোন করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement
ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা কিনা উঠছে প্রশ্ন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা কিনা উঠছে প্রশ্ন
হাইলাইটস
  • কেমন আছেন মুকুল ঘরণী?
  • খোঁজ নিতে এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ফোন
  • ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা কিনা উঠছে প্রশ্ন

বুধবার বিকেল থেকেই মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে গিয়েছে। যার শুরুটা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে। বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুকুল জায়া। তাঁকে দেখতে বুধবার বিকেলে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায় সেই সময়ে উপস্থিত না থাকলেও অভিষেকের সঙ্গে কথা হয় শুভ্রাংশুর। যাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়ার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে ফোন করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

অসুস্থ মুকুল রায়ের স্ত্রী, হঠাত্‍ হাসপাতালে দেখতে গেলেন অভিষেক

প্রসঙ্গত মে মাসের মাঝামাঝি সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের বিধায়ক মুকুল রায়। মুকুল রায়ে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকলেও তাঁর স্ত্রীকে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তারপর থেকে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে মুকুল জায়ার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে কৃষ্ণা রায় করোনা মুক্ত হলেও এখনও তাঁর অন্যআন্য শারীরিক জটিলতা রয়েছে। সেই কারণে  ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। এদিকে বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। এরপরেই বিকেলে কৃষ্ণা রায়কে দেখতে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে সেই সময় মুকুল রায় না থাকলেও ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে কথা হয় অভিষেকের। মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ছেলে  শুভ্রাংশু থেকে খোঁজখবর নেন তৃণমূলের যুব সভাপতি।

সাংসদ পদ খারিজ হোক শিশির-সুনীলের, এবার দাবি তুললো TMC

অভিষেক যেতেই হাসপাতালে দিলীপ
অভিষেকের বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে কৃষ্ণা রায়কে দেখতে যাওয়ার খবর সামনে আসতেই ময়দানে নামে গেরুয়া শিবির।  বুধবার রাত ৯টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। সেখানে কৃষ্ণাদেবীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কী এমন হল যে ২০ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি একজনকে দেখতে রাত ৯টায় ছুটতে হল দিলীপবাবুকে?

Advertisement

শুভ্রাংশু-কে নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা
বাবার মতোই তৃণমূল ছেড়ে ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভ্রাংশু। তবে এবারের বিধানসভা ভোটে নিজের পুরনো আসন বীজপুর থেকে হেরে গিয়েছেন গতবারের বিধায়ক। তারপরেই ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্টে জল্পনা বাড়িয়েছেন শুভ্রাংশু। পাশাপাশি প্রাক্তন দলের প্রতি বর্তমান দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণও যে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক পছন্দ করছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিজের পোস্টে। বিজেপির নাম না করে যে ইঙ্গিত শুভ্রাংশু ফেসবুক পোস্টে দিয়েছেন, তা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত শনিবার রাতে ফেসবুক পোস্ট মুকুল পুত্র বলেছিলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে, আত্ম সমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন। এরপরেই শুভ্রাংশু রায়ের কলার টিউন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বীজপুরের প্রাক্তন এই বিধায়ককে ফোন করলেই শোনা যাচ্ছে আচ্ছা চলতা হুঁ, দুয়াঁও মে ইয়াদ রাখনা। ফলে মুকুল রায়ের পুত্র কি বিজেপি ছাড়ছেন কিনা সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

মুকুলকে মোদীর ফোন
কৃষ্ণাদেবীর খোঁজ নিতেই ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে প্রায় ২ মিনিট কথা হয়। এদিন মোদি মুকুল রায়ের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন বলেও সূত্রের খবর। এই ফোনালাপের পরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাতের পরেই কি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে স্বয়ং ময়দানে নামতে হল প্রধানমন্ত্রীকে?  যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি শিবির। তাঁদের কথা, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সংকটের সময় পাশে থাকার বার্তা দিতেই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসুস্থতার সময়ও অবশ্য তাঁর খোজ নিতে ফোন করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। 

 

Advertisement