ফের জম্মু-কাশ্মীরকে নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'এর ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিক মানচিত্রে ভারতের থেকে আলাদা হিসাবে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখকে তুলে ধরা হয়েছে। মানচিত্র বলছে, জম্মু , কাশ্মীর লাদাখ আলাদা দেশ। কোন দেশের কোভিড পরিস্থিতি কীরকম, তা বোঝাতে সদ্য একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে 'হু'। আর এই ছবি নিয়েই রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কোন দেশে কোভিড সংক্রমণের হার কেমন, সেই চিত্র তুলে ধরেছে 'হু'। যেখানে ভারতের রঙ নীলচে। অন্যদিকে জম্মু কাশ্মীর ধূসর ছাই রঙ করে তাকে আলাদা দেশ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে আকসাই চিনকে ছাই রঙের উপর নীল স্ট্রাইপে তুলে ধরা হয়েছে, যা চিনের প্রতীক। ম্যাপটি প্রথম চোখে পড়ে লন্ডনে কর্মরত এক ভারতীয় আইটি কর্মীর। তিনি ম্যাপটি বিভিন্ন হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করার পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর পিছনে চিনের মদত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারত সরকার এনিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
এদিকে বিতর্ক বাঁধতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া গাইডলাইন মেনেই তাঁদের ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটে কোন দেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করোনাতে, তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সাফাই মানতে নারাজ ব্রিটেনের প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের দাবি যেহেতু হু-র পিছনে আর্থিক সাহায্য চিন থেকে আসে, তাই এই ম্যাপ প্রকাশের পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বেজিংয়ের।
এর আগে ট্যুইটার ও ইকিপিডিয়াও ভারতের ভুল মানচিত্র প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিল। অক্টোবর মাসে ট্যুইটার জম্মু ও কাশ্মীরকে চিনের অংশ হিসেবে দেখানোর পর সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। অবসার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক কাঞ্চন গুপ্ত প্রথম এই বিষয়টি জনগনের নজরে আনেন। সেই সময় ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসিকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়ে ভারতের মানচিত্রের বিকৃত ছবি দেখানোর তীব্র নিন্দা করে সাউথব্লক। এরপর গত ডিসেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের ‘ভুল মানচিত্র’ দেখানোর জন্য উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী নির্দেশ জারি করে উইকিপিডিয়া-কে ওই ম্যাপ সরিয়ে দিতে বলে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বার বার কেন ভারত সম্পর্কে এই ধরনের ভুল তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে তা যথেষ্টই চিন্তার বিষয়। কিছু দিন আগে অ্যামাজনের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যালেক্সাও কাশ্মীরকে চিনের অংশ বলে চিহ্নিত কেরছিলয যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।