মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিকে মৌনী অমাবস্যা (Mauni Amavasya) বলা হয়। এদিন দান ও স্নানের খুবই মাহাত্ম্য হয়েছে। শোনা যায়, ঋষি মনু এই দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর নাম থেকেই 'মৌনী' নামটা এসেছে। সে জন্যে এই অমাবস্যাকে 'মৌনী অমাবস্যা' বলা হয়। আসুন জানা যাক মৌনী অমাবস্যার গুরুত্ব এবং নিয়মকানুন।
মৌনী অমাবস্যার উপোস চলাকালীন মৌনতা পালন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুঁথিতে লেখা রয়েছে, ঈশ্বরের নাম শুধু ঠোঁট দিয়ে উচ্চারণ করলেই পুণ্যলাভ হয়। এমনকী জোরে মন্ত্র উচ্চারণের থেকে মনে মনে নাম জপ করলেই বেশি পুণ্য লাভ হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, সারাদিনে মৌন ব্রত পালন করতে হয়। তবে কোনও দানের আগে প্রায় দেড় ঘণ্টা যদি মৌনতা পালন করলে এবং উপোস ভাঙার সময়ে যদি সে মৌনতা পালন করে তাহলে ১৬ গুণ বেশি পুণ্যলাভ হয়।
মৌনী অমাবস্যা ২০২৫ -র দিনক্ষণ
আগামী ২৯ জানুয়ারি, বুধবার মৌনী অমাবস্যা। ২৮ জানুয়ারি রাত্রি ঘ ৭/৩২ মিনিট থেকে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ঘ ৬/৫০ পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা তিথি।
মাঘ মাসে পবিত্র গঙ্গা বা অন্য নদীতে স্নান করা মানেই শুভ। কিন্তু মনে করা হয়, মৌনী অমাবস্যায় এই স্নানের মাহাত্ম্য ও গুণ আরও অনেক বেশি। জ্যোতিষীদের মতে, মৌন ব্রত পালন করে, অমাবস্যায় যদি গঙ্গা স্নান করা যায় তাহলে মানব জীবনের বহু জন্মের পাপ ধুয়ে যায়। জেনে নিন, এই বিশেষ দিনে কিভাবে এই বিশেষ দিনে কিভাবে স্নান ও পুজো করবেন।
* সকালে এবং বিকেলে স্নানের আগে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
* প্রথমে কপালে পবিত্র জল ঠেকিয়ে উপাসনা করুন এবং তারপরে সম্পূর্ণ স্নান করুন।
পরিষ্কার বস্ত্র পরে সূর্য দেবতাকে তিল ও জল উৎসর্গ করুন।
* এবারে মন্ত্র জব করে আপনার সামর্থ্য মতো দান করুন।
* নির্জলা উপোস রাখতে না পারলে, না পারলে, শুধুমাত্র ফল ও জল খেলেও এই দিন উপোস রাখা যায়।
এদিন রাগ, ক্রোধ থেকে বিরত থাকুন। কাউকে খারাপ কথা বলবেন না। জ্যোতিষীদের মতে, এইদিন ঈশ্বরের জন্যে ধ্যান করা ভালো। কারণ একেবারে শান্ত মনে মন্ত্র জপ করা অনেক বেশি পুণ্যলাভ হয়।