Vishwakarma Puja 2023 Rituals: কথায় আছে, বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। প্রতি মাসে কোনও না কোনও উৎসব লেগেই আছে। আবার কোনও কোনও মাসে চলে একাধিক উৎসব। এই সব উৎসব মধ্যে সেরা উৎসব হল দুর্গোৎসব। তার আগেই বয় বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই শুরু হয়ে যায় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি পর্ব। আজ যে বিশ্বকর্মা পুজোটির কথা বলব, সেটি বছরে একবারের পুজো নয়। সারা বছরই এখানে পুজো হয়।
ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের কুর্তি চা বাগানের বিশ্বকর্মা পুজো সারা বছর সমান মর্যাদায় করা হয়। এখানে সারা বছরই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা হয়। জানানো হয়েছে এ জন্য মন্দিরে রয়েছে আলাদা উপাসনা কক্ষও। এ কারণে কুর্তি চা বাগানের বিশ্বকর্মা পুজোর আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট এই দিনে ভিড় বাড়ে। বাগানের বাইরে থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুজোয় আসেন ভক্তরা। পর্যটকদেরও ঘুরিয়ে নিয়ে যায়, স্থানীয় গাইড, গাড়িচালক, হোটেল-রিসর্ট মালিকরা।
যে কারণে ফি বছরই চা বলয়ের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এবারও এর কোনও অন্যথা হয়নি। বাগানের ম্যানেজার রাজেশ কুমার রুংতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখানে রোজকার মতোই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও দেবকারিগরের পুজো হয়।আর পাঁচটা দিনের মতোই সবকিছু। তবে একটু আড়ম্বর বেশি হয়।
১৯৯৪ সালে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। কুর্তি চা বাগানের যে মন্দিরে বিশ্বকর্মার আবাস, সেই মন্দিরটি পর্যটকদের কাছে একটি দ্রষ্টব্য স্থান। ডুয়ার্সে বেড়াতে এলে যে কোনও ট্যুর অপারেটার কুর্তির মন্দিরে একবার হলেও পর্যটকদের নিয়ে আসেন। সেখানে বিশ্বকর্মা ছাড়াও ৪ টি আলাদা উপাসনা কক্ষ রয়েছে। সেখানে আছেন রাম-সীতা, শিব-পার্বতী, দুর্গা ও লক্ষ্মী-নারায়ণ। অন্যান্য দেব দেবীদের সঙ্গেই প্রতি দিন ৪ বেলা হয় বিশ্বকর্মা পুজো। বাগানের পক্ষ থেকে এজন্য স্থায়ী দু’জন পুরোহিতও আছেন। এদিন বিশ্বকর্মাকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়।
মন্দিরটির পরিচালন খরচের পুরোটাই বাগান কর্তৃপক্ষের। এজন্য বছরে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেন তাঁরা। পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তাঁরা বিশেষভাবে নজরে রাখেন। উত্তরবঙ্গের আর কোথাও সারা বছরের বিশ্বকর্মাপুজো আর নেই বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।