তমলুকের শক্তি পিঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি। মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে। এক সময় তমলুকে কোনও শক্তির আরাধনা হত না। তমলুক শহরে যখন বিভিন্ন শক্তি পুজো শুরু হতে লাগল, সেই সময় দেবী বর্গভীমা মন্দিরের তরফে একটি নিদান দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, প্রথমে দেবী মায়ের পুজো দিয়ে তবেই কোনও মন্দিরে বা বাড়িতে পুজো শুরু হবে। সেইমতো তমলুক শহরে যত কালীপূজো হয় প্রত্যেক ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান আগে বর্গভীমা মন্দিরে এসে পুজো দেয়।