দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সেজে উঠেছে নবদ্বীপ- মায়াপুর। হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে আজ নবদ্বীপ মায়াপুর ইসকনে শুরু হল দোল উত্সব।
করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বদলেছে দোলের ধরণ। নদিয়ার ইসকন মন্দিরে দোলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে। এবছর কোভিডের কারণে বিদেশি ভক্তদের বেশি দেখা যায়নি। মন্দিরে পুজো অর্চনা চলছে দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে। সরকারী নিয়ম মেনে চলছে অনুষ্ঠান।
অন্যবারের তুলনায় এবার ভক্তদের সংখ্যাও অনেকটা কম হয়েছে। হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তথা দোল পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ইসকন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব বৈষ্ণব সন্মেলন, নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমা, কীর্তন মেলা, শ্রাবণ উত্সব, নৌকাবিহার, রথযাত্রা ইত্যাদি এবারও হচ্ছে।
আলোকমালায় সেজে উঠেছে নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দির চত্বর। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, কোভিডের কারণে এবছর বেশিরভাগ অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। মন্দিরের মূল গেট থেকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দোলের আগের দিন কিছু জায়গায় ভোট থাকায়, ওইসব এলাকার ভক্তরা এবার হয়তো কম আসবেন।
তবুও কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হবে বলে আশা তাঁদের। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মিনি মার্কেট খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০টি বিভিন্ন রকমের স্টল করা হয়েছে। করোনা বিধির সব রকম সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
এই দিনই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই জন্যে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থান দুটিতে প্রতি বছর ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন।