হরিদ্বারে কুম্ভ মেলার তৃতীয় দিনেও শাহি স্নানে দেখা মিলল আতকে ওঠার মতো দৃশ্য। এদিনও কোভিড বিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুণ্য স্নানে সামিল হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ফের চোখ রাঙাচ্ছে গোটা দেশকে।
লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতে অতিমারী নিয়ে কোনও তোয়াক্কাই করতে দেখা গেল না কাউকেই। এক জায়গায় এত মানুষের জমায়েত নিয়ে রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। কারণ গঙ্গার ঘাটে চরম ভিড়ের মধ্যেও কারও মুখেই নেই মাস্ক।
উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে বহুদিন আগে থেকেই সচেতনতার প্রচার দেখা গেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কে মানছে কার কথা।
কুম্ভ মেলা চত্বরে প্রবেশের জন্য RT-PCR রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে না কোথাও। এমনকি শোনা যাচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিংও হচ্ছে না বললেই চলে। এদিকে কুম্ভে ঢোকার বিভিন্ন প্রবেশপথে পুণ্যার্থীদের RT-PCR টেস্ট করা আছে কিনা তার জন্য সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গনেই র্যান্ডম টেস্টে অন্তত ৯ জনের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তারপরেও এ নিয়ে কোনও সতর্কতা দেখা যায়নি সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বুধবারও হর কি পাউরিতে একত্র হয়ে গঙ্গারতি এবং শাহি স্নানের প্রস্তুতি দেখতে আসেন পুণ্যার্থীরা। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক বা সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের লেস মাত্র দেখা যায়নি।
মহাকুম্ভের শাহি স্নান ১২ বছর অন্তর হয়। দেশের চারটি প্রধান নদীর তীরে কুম্ভের আসর বসে। অতিমারীর জন্য এবছর কুম্ভমেলা সাড়ে তিনমাসের বদলে ৩০ দিন ধরে চলবে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা। এবারের কুম্ভমেলায় ১২, ১৪, ২৭ এপ্রিলে ৩টি শাহি স্নানের যোগ রয়েছে।
নীতি আযোগ সদস্য ড. ভি কে পাল-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, মহাকুম্ভ কি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সুপার স্প্রেডারের ভূমিকা নেবে? উত্তরে খানিকটা এড়িয়ে গিয়েই তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি কুম্ভ মেলার প্রাঙ্গনে কোভিড বিধির নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালন করা হবে।' তাঁর আশা যে একেবারে নিরাশায় পরিণত হয়েছে, পরিষ্কার হয়েছে মানুষের ভিড় এবং অসতর্ক আচরণে। (ছবি সৌজন্য: পিটিআই)