দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টো রথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তি মনে এই পুজো করলে যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বিপত্তারিণী পুজো ২০২৩
এই বছর ২৪ জুন, শনিবার এবং ২৭ জুন, মঙ্গলবার পড়েছে বিপত্তারিণীর ব্রতর দিন।
হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন। এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সব কিছু ১৩ টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে।
ব্রত পালনের উপকরণ
ঘট, আম্র পল্লব, শীষ সহ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১৩ টি দূর্বা বাঁধা), ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩ টি দূর্বা, ১৩ টি পান ও ১৩ টি সুপুরি।
আরও পড়ুন: সামনেই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা! জানুন দিনক্ষণ- শুভ তিথি
বিপত্তারিণী পুজোর নিয়ম
* ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার করলে ভাল।
* উপবাস করে নিষ্ঠা করে সব উপকরণ দিয়ে মা বিপত্তারিণীর পুজো করতে হয়।
* পুজো শেষে ১৩ টা লুচি ও ১৩ রকমের ফল খেতে হয় প্রসাদ হিসাবে।
* পুজো হয়ে গেলে ঠাকুরের পায়ে অর্পণ করা ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (ডোর) হাতে বেঁধে নিতে হয়।
* এই লাল সুতো মেয়েদের বাম ও ছেলেদের ডান হাতে পড়তে হয়। এটি অন্তত তিনদিন হাতেই রাখার নিয়ম।
আরও পড়ুন: কবে- কখন শুরু হবে এবছরের অম্বুবাচী? জানুন এই উৎসবের গুরুত্ব
বিপত্তারিণীর মন্ত্র
মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যেশিবে সর্বার্থসাধিকে শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।