হিন্দু ধর্মের সমস্ত পুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভগবান বিষ্ণু ও তাঁর বাহন গরুড়ের কথোপকথন উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যু, পুনর্জন্ম এবং শেষকৃত্য সম্পর্কিত বহু তথ্য গরুড় পুরাণে দেওয়া হয়েছে। আবার মানবজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বহু বিষয়ও এতে লেখা রয়েছে। মনে করা হয়, যদি মানুষ সেগুলি নিজেদের জীবনে অনুসরণ করেন তবে অনেক ধরনের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকী হতে পারে মোক্ষলাভও।
সূর্যদয়ের আগে ওঠা - গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, সূর্য ওঠার আগে প্রত্যেক মানুষকেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। যাঁরা সূর্যোদয়ের পরেও ঘুমোন, তাঁরা আসলে অলস প্রকৃতির হন। তার জন্য সেই ধরনের মানুষেরা জীবনে নানান সমস্যার মধ্যে পড়েন।
পরিচ্ছন পোশাক - গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তি সব সময় নোংরা পোশাক পরে থাকেন, মা লক্ষ্মী কখনওই তাঁদের কাছে যান না। কারণ মা লক্ষ্মী যেখানে বাস করেন, সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সম্পূর্ণ খেয়াল রাখতে হয়। এমতাবস্থায়, প্রত্যেক ব্যক্তির পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা প্রয়োজন। নয়তো ওই ব্যক্তি দারিদ্র্যের শিকার হতে পারেন।
অপরের ভুল না ধরা - সবসময় অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ান, সমালোচনা করা একেবারেই ভাল নয়। এই ধরনের লোকদের সবসময় অর্থের অভাব থাকে। তাই এই ধরনের মানুষদের উচিত অবিলম্বে নিজেদের স্বভাব পরিবর্তন করা। নয়তো জীবনে বাসা বাঁধবে দারিদ্র্য।
কঠোর প্ররিশ্রম - অনেকেই কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলেন। পরিবর্তে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা সর্বদা অন্যদের অপমান বা হেয় করারও চেষ্টা করে। এই ধরনের মানুষদের কাছেও মা লক্ষ্মীর আবাস হয় না।
অহংকার নয় - যদি মা লক্ষ্মীর কৃপায় জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেও থাকেন, তাহলেও তা নিয়ে তবে তা নিয়ে কখনও অহংকার করবেন না। কারণ যাঁরা টাকার অহংকার করেন, তাঁদের কাছে মা লক্ষ্মী বেশিদিন থাকে না।
আরও পড়ুন - ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ৫ ফল, ব্যথা মুক্তির মোক্ষম দাওয়াই