scorecardresearch
 

Kali Puja 2022 : দক্ষিণা-শ্মশান-রক্ষাকালী, আর কী কী রূপে পূজিতা হন দেবী?

শ্যামা, দক্ষিণা, সিদ্ধেশ্বরী, বিভিন্ন রূপে পুজোয় হয় দেবীর। পণ্ডিতেরা বলেন মা কালী মূলত ৮ প্রকার, দক্ষিণাকালিকা, সিদ্ধকালিকা, গুহ্যকালিকা, শ্রীকালিকা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালিকা, শ্মশানকালিকা ও মহাকালী। আবার অন্য একটি মতে, ৯ প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধণকালিকা, সিদ্ধকালী, চণ্ডিকালিকা। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক কালীকথা।

Advertisement
কালী মূর্তি কালী মূর্তি
হাইলাইটস
  • কয়েকদিন পরেই কালী পুজো
  • দেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে বাংলা
  • জেনে নিন কালীর বিভিন্ন রূপের প্রসঙ্গে

সামনেই কালীপুজো। মা কালীর আরাধনায় মতে উঠবেন বঙ্গবাসী। শ্যামা, দক্ষিণা, সিদ্ধেশ্বরী, বিভিন্ন রূপে পুজোয় হয় দেবীর। পণ্ডিতেরা বলেন মা কালী মূলত ৮ প্রকার, দক্ষিণাকালিকা, সিদ্ধকালিকা, গুহ্যকালিকা, শ্রীকালিকা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালিকা, শ্মশানকালিকা ও মহাকালী। আবার অন্য একটি মতে, ৯ প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধণকালিকা, সিদ্ধকালী, চণ্ডিকালিকা। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক কালীকথা।

দক্ষিণাকালী - কালী প্রতিমার মধ্যে অন্যতম প্রচলিত দক্ষিণাকালী। দক্ষিণ দিকের অধিপতি যম। তবে সেই যম যে কালীর ভয়ে পলায়ন করেন, তাঁরই নাম দক্ষিণাকালী। মায়ের এই রূপের গলায় থাকে মুণ্ডমালার হার, কানে দুই ভয়ানক শবরূপী কর্ণাবতংস, কটিদেশে নরহস্তের কটিবাস। কালী ত্রিনয়নী এবং মহাদেবের বুকে দণ্ডায়মান। 

ভদ্রকালী - যিনি মরণকালে জীবের মঙ্গল বিধান করেন, তিনিই ভদ্রকালী। শাস্ত্রে অবশ্য ভদ্রকালী নামটি দুর্গা ও সরস্বতী দেবীর অপর নাম রূপেও ব্যবহৃত হয়েছে। কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, ভদ্রকালীর গায়ের রং অতসীপুষ্পের মতো, মাথায় জটাজুট, ললাটে অর্ধচন্দ্র ও গলায় কণ্ঠহার। তবে তন্ত্রমতে আবার ভদ্রকালী কৃষ্ণবর্ণা, কোটরাক্ষী, সর্বদা ক্ষুধিতা, মুক্তকেশী, যেন তিনি জগৎকে গ্রাস করছেন। 

কালী মূর্তি
কালী মূর্তি

গুহ্যকালী - এই কালী মূলত সাধকদের আরাধ্য। গুহ্যকালীর বর্ণ গাঢ় মেঘের মতো। তিনি দ্বিভূজা, গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা, কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র, মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র, কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার। এছাড়াও তাঁর বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ। তিনি নব রত্ন ভূষিতা। গুহ্যকালী নিয়মিত শবমাংস খান।   

সিদ্ধকালী - এই কালী একটি অখ্যাত রূপ। গৃহস্থের বাড়িতে সিদ্ধকালীর পুজো হয় না। সিদ্ধকালী মূলত সিদ্ধ সাধকদের আরাধ্যা। কালীতন্ত্রে তাঁকে দ্বিভূজা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। সিদ্ধকালীর সালংকারা। তাঁর এক পা শিবের বুকে এবং অপর পা শিবের উরুদ্বয়ের মধ্যস্থলে স্থাপিত।

Advertisement

চামুণ্ডাকালী বা চামুণ্ডা - দেবী ভাগবত পুরাণ এবং মারকেন্ডিয় পুরাণ অনুসারে চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুর বধের উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গার ভ্রুকুটি থেকে এই দেবীর সৃষ্টি হয়। ভাগবত পুরাণ অনুসারে এই দেবী ব্যাঘ্র চর্ম পরে থাকেন এবং দেবী অস্তিচর্মসার। এছাড়াও এই রূপে দেবীর দন্তও বিকট। 

কালী মূর্তি
কালী মূর্তি

মহাকালী - তন্ত্রসার গ্রন্থমতে মহাকালী পঞ্চবক্ত্রা ও পঞ্চদশনয়না। তবে শ্রীশ্রীচণ্ডীতে দেবীকে আদ্যাশক্তি, দশভূজা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। তাঁর দশ হাতে রয়েছে খড়্গ, চক্র, গদা, ধনুক, বাণ, পরিঘ, শূল, ভূসুণ্ডি, নরমুণ্ড ও শঙ্খ। মহাকালীও ভৈরবী, তবে গুহ্যকালীর সঙ্গে তাঁর পার্থক্য রয়েছে। 

শ্মশান কালী - এই দেবীর শ্মশানে বাস। সিদ্ধকালীর মতো এই কালীর পুজোও গৃহস্থ বাড়িতে হয় না। শোনা যায় প্রাচীনকালে কোনও কোন ডাকাতও নাকি এই কালীর আরাধনা করতো। 

রক্ষাকালী - রক্ষাকালীকে দক্ষিণাকালীরই একটি নাগরিক রুপ হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে নগর বা লোকালয়ের রক্ষার জন্য এই দেবীর পুজা করা হতো। এই দেবীর পুজা মন্ত্রও ভিন্ন। স্থানভেদে রক্ষাকালীর বাহন সিংহ।

আরও পড়ুনএই খাবারগুলির সঙ্গে কখনওই খাবেন না ডিম, ফল হতে পারে মারাত্মক

 

Advertisement