মূলত মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী (Vasant Panchami) বা সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) হয়। এই পুজোর জন্যে সকলে সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে সরস্বতী পুজো খুব স্পেশাল। সকাল থেকেই উপোস থেকে সকলে বাগদেবীর উদ্দেশ্যে অঞ্জলি দেন। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানের প্রার্থনা করেন সরস্বতী মায়ের কাছে। এই বছরের সরস্বতী পুজোর আর বেশি দেরি নেই। জেনে নিন, বসন্ত পঞ্চমীর দিন ও শুভ তিথি কবে পড়েছে।
সরস্বতী পুজোর দিন
২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং বাংলায় ৩ ফাল্গুন সরস্বতী পুজো পড়েছে।
সরস্বতী পুজোর তিথি
১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৩:৩৬ মিনিট থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫: ৪৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পঞ্চমী তিথি।
সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগ-শোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।
নমঃ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ- বেদাঙ্গ- বেদান্ত- বৃদ্যাস্থানেভ্য এব চ।। এষ স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ।।- এই মন্ত্রে তিনবার অঞ্জলি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
সরস্বতী পুজোর প্রণাম মন্ত্র
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল-লোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে।। জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।
পুজোর গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী
শ্রী পঞ্চমীর দিনি সকালেই সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত নিয়মে পুজো হলেও বেশ কয়েকটি সামগ্রির প্রয়োজন হয়। যেমন- আমের মুকুল, অভ্র- আবির, দোয়াত- খাগের কলম, পলাশ ফুল। এছাড়াও বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল ও মালা প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই! জানুন এর আসল কারণ
প্রচলিত লোকাচার অনুযায়ী, সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত কুল খেতে নেই। যদিও এর পেছনে রয়েছে আরও অনেক ব্যাখ্যা। তবে স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগদেবীর আরাধনার করার পরে অঞ্জলি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কুল খাওয়ার রীতি বহুদিন ধরে।