শনিদেবকে (Saturn Planet) ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। তিনি মানুষকে তাঁর ভাল-মন্দ কাজের ফল দান করেন। অন্যান্য গ্রহের তুলনায় শনির গতি খুবই ধীর। তিনি প্রতিটি রাশিতে কমপক্ষে আড়াই বছর থাকেন। সেক্ষেত্রে একই রাশিতে শনির পুনরায় পৌঁছতে প্রায় ৩০ বছর সময় লাগে। এর মাঝে বিভিন্ন রাশিকে সাড়ে সাতি বা ঢাইয়ার সম্মুখীন হতে হয়। এই সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া চলাকালিন এমন কিছু কাজ আছে, যা ভুল করেও করা উচিত নয়। নয়তো জাতক বা জাতিকা ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। মনে রাখবেন, সাড়ে সাতি বা ঢাইয়ার (Shani Sade Sati And Dhaiya Effects) সময় যদি শনিদেব ক্ষুন্ন হন, তাহলে জীবন তছনছ হয়ে যেতে পারে।
সাড়ে সাতিতে কঠিন সময়
শনির প্রতিটি পর্ব আড়াই বছরের। প্রথম পর্যায়ে জাতককে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। দ্বিতীয় দফায় তাঁকে আর্থিক ও শারীরিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যা অব্যাহত থাকে তৃতীয় পর্বেও। তবে জ্যোতিষ মতে এমন কিছু ব্যবস্থা আছে যেগুলি মেনে চললে, শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়ার কুপ্রভাব পড়ে না।
কুপ্রভাব থেকে বাঁচার উপায়
শনিবার লোহা, কালো উরদের ডাল, তিল বা কালো কাপড় দান করতে হবে। এই সময়ে হনুমান জির পুজো করা খুবই ভাল। এটি শনিদেবকে শান্ত রাখে। এই সময়ে, স্নান করার পরে, পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন এবং বাড়িতে বা শনি মন্দিরে শনিদেবের পুজো করুন। তাতে শনিদেব প্রসন্ন হবেন এবং তাঁর কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সতর্ক থাক দরকার
শনির সাড়ে সতীর সময় কারও সঙ্গে তর্ক জড়িয়ে পড়বেন না, তাতে বিপদ বাড়তে পারে। গাড়ি চালানোর সময়ও বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন, নয়তো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। শনি ও মঙ্গলবার কালো কাপড় কিনবেন না বা পরবেন না। এছাড়াও শনি ও মঙ্গলবার আমিষ খাবেন না এবং মদ্যপান করবেন না। কারণ তাতে শনিদেব ক্ষুব্ধ হন।
আরও পড়ুন - ১৬ ডিসেম্বর বছরের শেষ সূর্য গোচর, সাফল্যকে উপভোগ করতে তৈরি থাকুন ৫ রাশি