লজ্জাবতী গাছের পুজো করলে সহজেই শনিদেবের কৃপা পাওয়া যায়। লজ্জাবতীর পূজা করলে আপনার জীবন থেকে অনেক সমস্যা দূর হতে পারে, কারণ এটা বিশ্বাস করা হয় যে লজ্জাবতী গাছে শনি বাস করেন। আসুন আপনাদের বলি কেন লজ্জাবতী শনিদেবের এত প্রিয়।
শনির কেন প্রিয় লজ্জাবতী?
লজ্জাবতী গাছের বৈশিষ্ট্য শনির মতোই। এই গাছটি সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও বেঁচে থাকে। লজ্জাবতী গাছের প্রকৃতি শক্ত ও তীক্ষ্ণ। কিন্তু এই উদ্ভিদ সমৃদ্ধি এবং বিজয় নিয়ে আসে। এই সমস্ত গুণ শনির ভিতরেও পাওয়া যায়। তাই এই গাছটিকে শনির উদ্ভিদ বলে মনে করা হয়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে লজ্জাবতী গাছের পাপ দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। লজ্জাবতীর কাঁটা ব্যবহারে নেতিবাচক শক্তি ও তন্ত্র-মন্ত্রের সমস্ত বাধা বিনষ্ট হয়। কোথাও যাওয়ার আগে লজ্জাবতী গাছ দর্শন করলে যাত্রা সফল ও শুভ হয়। এছাড়াও এই উদ্ভিদের সাথে অনেক পৌরাণিক বিশ্বাস জড়িত।
লজ্জাবতী গাছের গুরুত্ব
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, লঙ্কা জয়ের আগে শ্রী রামও লজ্জাবতী গাছের পুজো করেছিলেন। পান্ডবরাও তাদের বনবাসের সময় এই গাছে তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। যুদ্ধে যাওয়ার আগে পাণ্ডবরা লজ্জাবতী গাছের পুজো করে বিজয়ের আশীর্বাদ নেন। কথিত আছে, কবি কালিদাস লজ্জাবতী গাছের নীচে তপস্যা করে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তাই শনির প্রকোপ এড়াতে মহা অলৌকিক লজ্জাবতীর পুজো করা হয়।
লজ্জাবতী গাছ কোথায় লাগাবেন?
শনিবার টবে বা জমিতে লজ্জাবতী গাছ লাগাতে পারেন। এটি বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছে স্থাপন করা যেতে পারে। ঘরের ভিতরে লজ্জাবতী গাছ লাগানো উচিত নয়। বিজয়া দশমীর দিনে এই গাছ লাগানো সবচেয়ে ভাল। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে লজ্জাবতী গাছ লাগানো ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, লজ্জাবতী গাছ যত ঘন হবে ঘরে তত বেশি সমৃদ্ধি আসবে। শনির দশা, ঢাইয়া বা সাড়ে সাতির মতো সমস্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
আপনাকে এই ব্যবস্থাগুলি করতে হবে
যদি আপনার কুণ্ডলীতে শনির অশুভ অবস্থার কারণে দুর্ঘটনা বা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনি কালো সুতোয় জড়িয়ে লজ্জাবতী কাঠ পরতে পারেন। শনির শান্তির জন্য কালো তিল দিয়ে লজ্জাবতী কাঠে যজ্ঞ করাও উপকারী।