মন্দির তৈরি এবং বাড়িতে পুজো করার সময় বাস্তু বিধি উপেক্ষা করা ব্যক্তির জীবনে সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হলে উত্তর-পূর্ব দিক বেছে নেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তু অনুসারে, বাড়ির মন্দির ও পুজো সংক্রান্ত বিশেষ নিয়মগুলি।
বাড়িতে তৈরি মন্দির সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাস্তু মতে এমন কিছু জিনিস আছে, যেগুলো পুজার ঘরে রাখা শুভ নয়। ভাঙা মূর্তি কখনওই বাড়ির পুজোর জায়গায় রাখা উচিত নয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে শঙ্খের আওয়াজ সাহায্যে যে কোনও স্থানের নেতিবাচকতা দূর করে। কথিত আছে যে ঘরে শঙ্খ থাকে, লক্ষ্মীও সেখানেই বসবাস করেন। ঘরে শঙ্খ রাখলে বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে শঙ্খ কখনওই মাটিতে রাখা উচিত নয়।
বাস্তু অনুসারে, শিবলিঙ্গের উপরে সবসময় রেশমী কাপড় বিছিয়ে রাখুন। সিল্কের কাপড় ছাড়া শিবলিঙ্গ রাখলে বাস্তু দোষ হয়। এর পাশাপাশি ঘরে আর্থিক সংকটও দেখা দেয়।
বাস্তু মতে, ঘরে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে শিবের পরিবারের মূর্তি রাখা শুভ হিসেবে বিবেচিত হয় না। মনে করা হয় না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পূর্বপুরুষের ছবি কখনওই পুজার ঘরে রাখা উচিত নয়।
ঈশ্বরের যে কোনও মূর্তি পুজো করার সময় মুখ পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। পূর্বমুখী না হতে পারলে পশ্চিম দিকে মুখ করে পুজা করাও উপযুক্ত।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, হলুদ, সবুজ বা হালকা গোলাপী রঙের দেওয়াল মন্দিরের জন্য শুভ। তবে মনে রাখবেন মন্দিরের দেওয়ালের রঙ যেন একই রকম হয়।
অনেক সময় যজ্ঞ বা আচার অনুষ্ঠানের পর অবশিষ্ট পুজোর উপকরণগুলো বাড়ির মন্দিরে রাখা হয়। কিন্তু তা করা বাস্তু অনুসারে ঠিক নয়। অবশিষ্ট উপাদান জলে ভাসিয়ে দেওয়াই উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
কলসি ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। অধিকাংশ মানুষ কলসি মাটিতে রাখেন। কিন্তু তাতে বাস্তু দোষ দেখা দেয়। তাই কলসি সবসময় প্লেটে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন - ঘুম হচ্ছে না মশার, স্বাদ ভুলেছে রক্তের, চাঞ্চল্যকর গবেষণা