বৃহস্পতিবার সকালের লেনদেনে সোনার দাম কমতে দেখা গিয়েছে। সোনা এখন তার সর্বকালের রেকর্ড দর থেকে ৩,৯৫০ টাকা সস্তায় লেনদেন করছে। এর আগে বুধবারের লেনদেনেও সোনার দামে খুব বেশি হেরফের হয়নি।
বৃহস্পতিবারের লেনদেনে সোনার দর কিছুটা কমলেও দাম এখনও প্রতি ১০ গ্রামে ৫২ হাজার টাকার উপরেই রয়েছে। একই সময়ে রুপোর দামে পতন আরও বেড়েছে এবং এই ধাতুর দাম প্রতি কেজিতে এখন ৫৮ হাজার টাকার নিচে নেমে গিয়েছে।
মার্কিন ডলারের টাকার দরপতনের কারণে সোনা ও রুপোর দামেও পতন দেখা গেছে। তবে বৃহস্পতিবার বিদেশি বাজারে সোনা ও রুপার দামের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের প্রাথমিক লেনদেনে, ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম ১১০ টাকা কমে ৫২,২৫০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, রুপোর কেজি প্রতি দর ২০০ টাকা কমে ৫৭,৬০০ টাকা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২২ ক্যারেটের ১০ গ্রামের দর সোনায় ১০০ টাকা কমে দাম ৪৭,৯০০ টাকার স্তরে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারেও আজ সোনা ও রুপোর দাম কমেছে।
আসলে, ফেডারেল রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর থেকে যে রকম ইঙ্গিত মিলেছে তা হল, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সময়ে হার বৃদ্ধির বিষয়ে আর আগ্রাসী হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এ কারণে ডলারের দর কিছুটা দুর্বল হয়েছে এবং মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা সোনা কিনেছেন।
বৃহস্পতিবারের প্রাথমিক লেনদেনে, মুম্বই এবং কলকাতায়, ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রামের দর ৫২,২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে ২২ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রামের দর ৪৭,৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দিল্লিতে, বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রামের দর ৫২,৪০০ টাকা এবং ২২ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রামের দর ৪৮,০৫০ টাকায় লেনদেন করছে। অন্যদিকে, রুপোর কথা বললে, মুম্বাই, দিল্লি এবং কলকাতায় এক কেজি রুপোর দাম আজ ৫৭,৬০০ টাকায় লেনদেন করছে।
বিশুদ্ধতা পরিমাপ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সোনায় হলমার্ক দেয়। এই মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৪ ক্যারেটে সোনায় ৯৯৯, ২৩ ক্যারেটে ৯৫৮, ২২ ক্যারেটে ৯১৬, ২১ ক্যারেট সোনায় ৮৭৫ এবং ১৮ ক্যারেটে ৭৫০ নম্বর লেখা থাকে।
এই নম্বর দেখেই সোনার বিশুদ্ধতার আন্দাজ করা যায়। বেশিরভাগ গয়না তৈরির ক্ষেত্রেই ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। অনেকে ইদানীং আবার ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়েও গয়না তৈরি করেন।