দেশীয় কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চিনা কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। চিনের তৈরি ওষুধ অফলোক্সাসিনের ওপর পাঁচ বছরের জন্য অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্র্ক।
এই ওষুধটি বিভিন্ন সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। দেশীয় সংস্থাগুলি এই বিষয়ে ডাম্পিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, যার ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকার এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এই পদক্ষেপ দেশীয় ফার্মা শিল্পকে উপকৃত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ট্রেড রেমেডিজ (DGTR) তার তদন্তে দেখেছে যে চিন থেকে এই ওষুধটি ডাম্পিং মূল্যে ভারতে পাঠানো হয়, যা দেশীয় শিল্পকে প্রভাবিত করে। তাই এই শুল্ক সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্র্ক।
DGTR এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে কর্তৃপক্ষ এই পণ্যের উপর পাঁচ বছরের জন্য অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। মামলায় আরতি ড্রাগস লিমিটেড চিন কর্তৃক ডাম্পিং মূল্যে ওষুধ পাঠানোর অভিযোগ করেছিল এবং তদন্তের দাবি করেছিল।
পরে DGTR এই বিষয়ে তদন্ত করেছিল। তদন্তে দেশীয় শিল্পের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্র্ক ওষুধের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করতে বলেছে।
এই ওষুধটি ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ত্বকের সংক্রমণ সহ আরও অনেক সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধের উপর শুল্ক প্রতি কেজি ০.৫৩ ডলার থেকে ৭ ডলার পর্যন্ত ধার্য করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ওষুধের ডাম্পিং কি?
ডাম্পিং হল একটি দেশের স্থানীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ করার একটি পদ্ধতি যা স্থানীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে, চিনের মতো দেশগুলি খুব সস্তায় অন্য দেশের পণ্যের চাহিদা পূরণ করে, যাকে ডাম্পিং বলা হয়।
কারণ, এতে চাহিদা এবং লাভ শুরুতে বোঝা যায় না। এই ব্যবস্থায় যে সমস্ত স্থানীয় কোম্পানিগুলি এই হার এবং উচ্চ সরবরাহের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না এবং তারা ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে বেরিয়ে যায়।
বিদেশী কোম্পানিগুলো যখন অন্য দেশের বাজার দখল করে নেয়, তখন তারা তাদের দাম বাড়িয়ে এবং সরবরাহ সীমিত করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই পরিস্থিতির মোকাবেলায়, দেশীয় সংস্থাগুলিকে ন্যায্য সুযোগ পাইয়ে দিতে কেন্দ্র সরকার এই পণ্যগুলির উপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে। যার ফলে বাজারে দাম সঠিক স্তরে আসে এবং ন্যায্য দামে আরও বেশি পণ্য বাজারে থাকার সুযোগ পায়।