যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে। সেটা স্নাতক স্তরের প্রবেশিকার কোয়েশ্চেন পেপার। নেটিজেনদের কাছে তারিফ কুড়িয়েছে সেটা। সকলেই মোহিত সেই প্রশ্নমালা দেখে। বিভিন্ন রকমের মন্তব্য ঘিরে আসছে।
মুগ্ধ সবাই
বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করছেন নেট-নাগরিকদের একাংশ। সেইসঙ্গে প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন প্রশ্ন দেখে অনেকেই জানাচ্ছেন, তিনি সেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিতেন। এবং বারবারই তাঁরা মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন।
কেমন ছিল বাংলার প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র? দেখে নেওয়া যাক। এই পরীক্ষার জন্য মোট নম্বর ছিল ৫০। আর সময় বরাদ্দ ছিল দু'ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: MBA করতে চান? রয়েছে একগুচ্ছ স্কলারশিপ, জেনে নিন আপনি কোনটা পেতে পারেন
আরও পড়ুন: মেলা আছে, ভিড় কম, অজয়ের পাড়ে কাঁদছে কেঁদুলি
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট-কনস্টেবলদের রিফ্লেকশন জ্যাকেট-শোল্ডার লাইট মাস্ট
প্রশ্ন শুরু হচ্ছে যে কোনও একটি বিষয়ে নিবন্ধ রচনা করো। সেখানে পূর্ণমান ২০। মোট ৯টি প্রশ্ন। তার মধ্যে থেকে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
১) ক) তোমার মনকেমনের গান।
খ) তোমার পড়া কমিকসের প্রিয় চরিত্ররা।
গ) তোমার অতিমারীর দিনগুলোয
ঘ) বাংলা সাহিত্যে ভাল ভূত, খারাপ ভূত।
ঙ) যে দেশকে আমি ভালবাসি।
চ) তোমার ভাললাগার বই।
ছ) বাংলা কবিতা : প্রেমে, প্রতিবাদে।
জ) মনে-মনে যেখানে যেতে চাই।
এর পরের অংশ রয়েছে যে কোনও একটা উদ্ধৃতিতে প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থীর ভাবনা বিস্তারিত লেখার। সেখানে পূর্ণমান ১৫।
২) ক) "আমাকে কি তুমি খুঁজেছ সমস্ত দেশ জুড়ে?/ তবুওপাওনি? তাহলে ফিরেছ ভুল পথ ঘুরে ঘুরে।"
খ) "কাল যে আমি ছিলাম, প্রমাণ করো/ আজও আমি সেই আমিটাই কি না।"
গ) "একবার ত্যাজিয়ে সোনার গদি, রাজা মাঠে নেমে যদি হাওয়া খায়/ তবে রাজা শান্তি পায়।"
ঘ) "সত্যি যে কোথায় শেষ হয়, স্বপ্ন যে কোথায় শুরু হয় বলা মুশকিল।"
পরের অংশে রয়েছে যে কোনও একটা কবিতা পড়ে তার মূল্যায়ন করা। সে জন্য নম্বর রয়েছে ১৫। আর সেখানে তিনটি প্রশ্ন করা ছিল।
৩) ক) "আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ..."
খ) "মেঘ মুলুকের ঝাপসা রাতে/রামধনুকের আবছায়াতে..."
গ) "তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধু/ শিকড়ে দিয়ে আঁকড়ে ধরা ছাড়া..."