Primary Tet: প্রাথমিকের প্যারাটিচারদের সঙ্গে এবার উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচারদেরও টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সোমবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে তিনি এই রায় দিয়েছেন বলে জানান। আজ সোমবারই টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন ছিল। তাই নতুন করে তারিখ না বাড়ানো হলে এই নির্দেশে কোনও লাভ হবে না বলেই মনে হচ্ছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা।
আরও পড়ুনঃ বিয়ারে কমে বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি, তবে মেপে, কতটা ক্ষতিকর নয়?
প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্য ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন বিএড পাশরাও। প্রথমে বলা হয়েছিল বিএড-এ ৫০ শতাংশ থাকলে তবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে পরে হাইকোর্টে একটি রায় বের হয়, যাতে বলা হয় কোনও নম্বর নয়, শুধু বিএড পাশ করলেই টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওযা যাবে। এবার তাতে যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও।
পর্ষদ সুূত্রের খবর এই পদে মোট শূন্যপদ রয়েছে ১১ হাজার ৭৬৫টি। প্রার্থীদের একাংশের দাবি, এসসি, এসটি, এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরি সহ সংরক্ষণ বাদ দিলে শূন্যপদ পড়ে থাকছে মাত্র ৫ হাজার। সম্প্রতি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন আসল শূন্যপদের চেয়ে ঘোষিত শূন্যপদের সংখ্যা অনেক কম। তবু চাকরির আশায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে TMC পার্টি অফিস, ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের
পর্ষদের টেট সংক্রান্ত প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতামান যা ছিল, তা পরবর্তীতে বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে প্রাথমিকে কর্মরত প্যারাটিচারদের জন্য। সোমবার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে ওই ১০ শতাংশের মধ্যেই যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। স্বাভাবিকভাবেই, প্রতিযোগিতা আরও কঠি হচে চলেছে। টেটে বসার আর্জি জানিয়ে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।