ইতিমধ্যেই তিনি জেলে। ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) দেখা যাবে না। জেলবন্দি আরাবুলকে ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক পদ থেকেও সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তা হলে কি আরাবুল ইসলামকে এবার ধীরে ধীরে ছেঁটে ফেলছে তৃণমূল কংগ্রেস? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ, আপাতত তিনি ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবেই থাকছেন।
বর্তমানে জেলে রয়েছেন আরাবুল ইসলাম
ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। আরাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিনের পর দিন তোলাবাজি, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই নেতার বিরুদ্ধে।
এখন আরাবুল ইসলাম দলের কোনও পদে নেই: শওকত মোল্লা
আরাবুল ইসলামকে ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক পদ থেকে সরানো নিয়ে ক্যানিং (পূর্ব) বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, 'আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে। এখন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। এখন আরাবুল ইসলাম দলের কোনও পদে নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি উনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।'
শওকত মোল্লাই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি আরাবুল ইসলামের
বস্তুত, শওকত মোল্লাই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি আরাবুল ইসলামের। আরাবুলের গ্রেফতারের পরে আরাবুল পুত্র জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমুল ইসলামকেও তৃণমূলের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে ডাকা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আরাবুল ইসলামের অনুগামীদের। ২০০৬ সালে ভাঙড়ে প্রথমবার বিধায়ক হন আরাবুল ইসলাম। তারপর থেকে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ একাধিক পদ পেয়েছেন। । ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। ওই সময়ে জেলে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হন। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে সভাপতি হন।