ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বেলপাহাড়ি। মাওবাদী আন্দোলকে কেন্দ্র করে একটা সময় প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসত এই অঞ্চলের নাম। তবে শুধু মাওবাদী আন্দোলন নয়, বেলপাহাড়ি (Belpahari) পরিচিতি রয়েছে আরও বেশকিছু বিষয়ে। তার অন্যতম এখানকার পাথর শিল্প।
পাথর দিয়ে থালা, বাটি, মূর্তি, শিবলিঙ্গ, ফুলদানি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করেন এখানকার শিল্পীরা। যা পর্যটকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। আর শুধু পর্যটকদের মধ্যেই নয়, উত্তরবঙ্গ, নেপাল এমনকি তিব্বতেও এখানকার পাথরের তৈরি থালা বাটির চাহিদা রয়েছে।
তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দিন দিন কমে আসছে এই শিল্পের আয়তন। এই বিষয়ে বেলপাহাড়ির পাথর শিল্প ও শিল্পী উন্নয়ন সমিতির কার্যকরী সভাপতি ঝর্না আচার্য জানাচ্ছেন, আগে বেশকিছু গ্রামে পাথরের কাজ হত। তবে এখন মাত্র ৩টি গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।
ঝর্না আচার্য আরও জানাচ্ছেন, এখানকার শিল্পীরা মূলত নিজেদের তৈরি সামগ্রী নিজেরাই বিক্রি করতে চান। কিন্তু সেক্ষেত্রে রয়েছে বেশকিছু সমস্যা। পাথরের তৈরি সামগ্রী কলকাতা বা অন্যান্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা বেশ কঠিন বিষয়। তাই শিল্পীদের দাবি, তাঁদের তৈরি সামগ্রী স্থানীয়স্তরে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
পাথর শিল্প ও শিল্পী উন্নয়ন সমিতির কার্যকরী সভাপতি জানাচ্ছেন, স্থানীয় শিলদা হাটে একসময় বিক্রিবাটা হত। কিন্তু সেটাও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে সরকার কোনও সহযোগিতা করেছে কি? ঝর্না আচার্য জানাচ্ছেন, পূর্বতন বাম সরকারের আমলে শিল্পীদের মেলায় নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু বর্তমান সরকারের তরফে জেলাভাগের পর কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।