এদিন সবথেকে বেশি গোলমাল হয়েছে। আগের দফাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে। উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণ- সব জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে ভোট নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাওড়ায় ৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১১, হুগলি ১০টিতে। আর উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে ৫ এবং কোচবিহারে ৯টি কেন্দ্র ছিল।
এই পর্বে মোট ভোটার ১,১৫,৮১,০২২ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্য়া ৫৮,৮২,৫১৪ এবং মহিলা ৫৬,৯৮,২১৮। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৯০ জন।
আগের দফাগুলির মতো এবারও প্রচুর মহিলা ভোটার ছিলেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন তাঁরা।
২০১৬ সালের ভোট তৃণমূল এই ৪৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি হেরেছিল। সেগুলি হল মাদারিহাট, যাদবপুর, কোচবিহার উত্তর, চাঁপদানি এবং পাণ্ডুয়া। বিজেপি একমাত্র মাদারিহাটে জিতেছিল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সব হিসেব বদলে গিয়েছিল।
এই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্য়ে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাস। বিজেপির দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় এবং নিশীথ প্রামাণিক। এছাড়া রয়েছেন তৃণমূলত্যাগী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
ঘটনা হল, একই দফায় ভোট পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। সুজনবাবু যাদবপুরে আর মান্না চাঁপদানিতে।
বেহালা পশ্চিম থেকে লড়ছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন অভিনেত্রী, বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়
রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি সেসব ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবারও তিনি ডোমজুড় থেকে লড়ছেন। তাঁর প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি তাবড় নেতারা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য ৭৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকবে।
কোচবিহারের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে তামাম ভারতকে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৪ যুবক মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
৪৪ আসনে রয়েছেন ৩৭৩ জন প্রার্থী। এঁদের মধ্যে কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান সবথেকে ধনী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। এদিন ওই কেন্দ্র থেকে গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে।