এরাজ্যে সংখ্যালঘুদের তিরিশ শতাংশ ভোট একুশের নির্বাচনে ভাগ্য বদলে দিতে পারে তা জানেন তৃণমূলনেত্রী। তাই ময়দানে আব্বাস সিদ্দিকীর আগমন তৃণমূলনেত্রীর অনেকটাই চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আবহে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি আরও বেশ কিছুটা রক্তচাপ যেন বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে জনসভা করেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। সেখান থেকেই মুর্শিদাবদের জলঙ্গী ও সাগরদিঘি থেকে তাঁর দল যে ভোটে লড়বে সেই ঘোষণা করেন ওয়েসি। সেই সঙ্গে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে একুশের ভোটে এরাজ্যে তাঁর দলের সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিক প্রকাশ করে দেওয়া হবে সেকথাও জানিয়ে দেন মিম প্রধান।
এরাজ্যে একুশের ভোটে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে চেয়েছিলেন ওয়েসি। কিন্তু শেষপর্যন্ত সিদ্দিকী হাত মিলিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে। ফলে এবারের ভোটে একাই ময়দানে নেমেছেন মিম প্রধান। মুর্শিদাবেদর সভা থেকে তৃণমূল,বিজেপি,কংগ্রেস ও বামদলের কঠোর সমালোচনা করতেই দেখা গেল ওয়েসিকে।
ওয়াইসি জানান,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মুসলমানদের কোনো উন্নতি হয়নি।শিক্ষা,কর্মসংস্থানে মুসলমানরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে।অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি নাকি সংখ্যলঘু মুসলমানদের উন্নতির জন্য কাজ করছেন। এছাড়াও সিএএ ইস্যুতে তার বিক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। তিনি এও বলেন দিদির জামানায় সাগরদীঘিতে পানীয় জলের অভাব এখানে বিষাক্ত জল পান করেন মানুষ অথচ দশ বছরের তৃণমূলের বিধায়ক পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা করেননি। সভামঞ্চে মমতার চণ্ডীপাঠ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন ওয়েইসি।
মিম প্রধানের আক্রমণ থেকে বাদ গেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ঢাকা সফরে গিয়ে শুক্রবার মোদী দাবি করে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি সত্যাগ্রহ করেন। তাই নিয়েই কটাক্ষ করেন ওয়েসি। মিম প্রধান বলেন, "আপনি যদি বাংলাদেশীদের জন্য সত্যাগ্রহ করেন তাহলে মুর্শিদাবাদে থাকা মুসলিম পরিবারগুলিকে আপনি বাংলাদেশী বলেন কেন? হায়দরাবাদের নির্বাচনের সময়ও আপনারা (বিজেপি) দাবি করেছিলেন সেখানে বাংলাদেশিদের অস্তিত্ব রয়েছে। আসলে তাঁরা এরাজ্যের (বাংলার) মানুষ। "