২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় এই আসনে এবার লড়াই করবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। নাম ঘোষণার পর পরেই এই আসনে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে দুই পক্ষই। এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসে মহম্মদ সাদাব খান। কলকাতার এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটিকে কার্যত মিনি ইন্ডিয়া বলা হয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষই বসবাস করেন। ২৬ এপ্রিল এই আসনে ভোটগ্রহণ। এক নজরে এই আসনে গত নির্বাচনগুলির ফলাফল
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচন
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৬৫,৫২০টি ভোট। ৪৭ শতাংশ ভোট পান তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী পান ৪০,২১৯টি ভোট। মোট ২৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র কুমার বসু পান ২৬,২৯৯টি ভোট। ১৯ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি।
আরও পড়ুন, সায়নী বনাম অগ্নিমিত্রা! কী বলছে আসানসোল দক্ষিণের ভোটের ইতিহাস
২০১১ বিধানসভা নির্বাচন
তৃণমূলের সুব্রত বক্সী পান ৮৭,৯০৩টি ভোট। মোট ৬৪ শতাংশ ভোট পান তিনি। সিপিএমের নারায়ণ প্রসাদ জৈন পান ৩৭,৯৬৭টি ভোট। মোট ২৭ শতাংশ ভোট পান তিনি। বিজেপির রামচন্দ্র জয়সওয়াল পান ৫ হাজার ভোট। মোট ৩ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি।
২০১১ বিধানসভা উপ নির্বাচন
ভোটে জেতার কয়েক দিনের মধ্যে পদত্যাগ করেন সুব্রত বক্সী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েন। তিনি পান ৭৩,৬৩৫টি ভোট। সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পান ১৯ হাজার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৭ শতাংশ ভোট নিয়ে উপ নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন। বামেদের ভোট কমে গিয়ে হয় ২০ শতাংশ।
নজর এবারের নির্বাচনে
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে ভবানীপুর কেন্দ্রে বিরাট ভোট পায় বিজেপি। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তারা এগিয়েও যায়। ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারা আরও বেশি ভোট পাবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। তাই জন্য রুদ্রনীলকে সামনে রেখে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের গড় ধরে রাখার জন্য প্রার্থী হয়েছেন শোভনদেব। ফলে এই নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হতে চলেছে ভবানীপুর কেন্দ্রে।