একুশের বিধানসভা ভোটে এবার নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী, এই বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। আগামী পয়লা এপ্রিল ভোট নন্দীগ্রামে। রাজ্যের সবথেকে হাইপ্রফাইল সিট এখন বলা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের এই আসনটিকেই। সব নজর এখন গেরুয়া শিবিরের দিকে। নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপি কাকে দাঁড় করায় সেই দিকে দৃষ্টি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতার। আর এই আবহেই ফের নিজের প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রয়েছে বিজেপির সংসদীয় কমিটি বৈঠক। সেখানেই রাজ্যের প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হতে পারে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে খড়গপুরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিজেপি নেতা বলেন,"দল আমাকে প্রার্থী করুক বা না করুক আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে হারাবো,এই দায়িত্ব আমার।"
বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীনাথপুর এলাকাতে একটি জনসভাতে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ কয়েক হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থককে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ব্লকের গোপীনাথপুরে সমাবেশ করেন তিনি ৷ সভাতে স্থানীয় বেশ কিছু তৃণমূলকর্মী সমর্থক যোগদেন বিজেপিতে ৷ দিল্লীর দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ফের চ্যালেঞ্জ করে যান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ৷
ফের শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ মমতাকে
সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, "আমরাই বলেছিলাম পশ্চিমবঙ্গকে ঋণের বোঝা দিয়েছে বামফ্রন্ট। দু'লক্ষ তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ করে গিয়েছিল বাম সরকার। বর্তমানে দিদিমণি চার লক্ষ ষাট হাজার কোটি টাকা ঋণ করে দিয়েছেন রাজ্যের। গোটা বাংলাকে দেউলিয়া করে দিয়েছেন। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারাবো। দল আমাকে প্রার্থী করলে সরাসরি হারাবো, অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও আমি পদ্ম ফুল ফোটাবো। এই দায়িত্ব আমার।" যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সেদিনও শুভেন্দু প্রাক্তন নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন এমন কথাও শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর গলায়। এদিকে বৃহস্পতিবারই প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। তাতে নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুর নাম থাকে কিনা সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় রাজ্য রাজনীতিতে।
কানধরে উঠবোস তৃণমূল নেতার
শুভেন্দুর সভায় স্থানীয় বেশকয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী পুরনো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এঁদের মধ্যে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা সুশান্ত পালকে প্রকাশ্য মঞ্চে কানধরে উঠবোস করতে দেখা যায়। শুভেন্দু অধিকারীর সামনে তিনি বলেন, "আমি তৃণমূলে থেকে যে পাপ করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত করতে এই কানধরে উঠবোস করলাম ৷" এই ঘটনায় সভামঞ্চে হাসির রোল ওঠে।