শোনা যাচ্ছে এবার বিধানসভা ভোট এগিয়ে আনেত চাইছে কমিশন। সেই গুঞ্জনের মাঝেই বুধবারই রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এদিন দিনভর প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কমিশনের। তার মাঝেই রাজ্যের প্রধান ১০টি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক সারলেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের প্রতিনিধিরা। আর সেখানে গিয়েই ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার কাছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-কে নিয়ে নালিশ জানিয়ে আসল তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই পার্থবাবু দাবি এরাজ্যের সীমান্তে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন। তাইর কথায়য় "বিএসএফ সীমান্তবর্তী গ্রামে ঢুকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, আর কেউ থাকবে না, সীমান্তে আমরাই থাকব।" এবিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে নির্বাচন কমিশনের উপর তাঁদের আস্থা রয়েছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল নেতা। পার্থবাবুর অভিযোগ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যেসব বিএসএফর দায়িত্বে রয়েছেন তারা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। পার্থবাবু নাম না নিলেও কোন শিবিরের দিকে ইশারা করেছেন তা স্পষ্ট।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গার নাম তোলা নিয়ে বুধবার গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সেই দাবি এদিন ওড়ালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল মহাসচিব দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন তালিকা তৈরি করে। গেরুয়া শিবিরের এই মিথ্যে দাবিতে মানুষ গনতন্ত্রের উপর যে আস্থা প্রকাশ করে তা বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন ইভিএম মেশিন বা ভিপি প্যাডে সম্পর্কে রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা যতক্ষণ সন্তুষ্ট না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে না। গোলি মারো স্লোগান নিয়েও এদিন সরব হন পার্থবাবু। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।