এতদিন পঞ্চায়েত-সহ একাধিক নির্বাচনে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছেন ভয় দেখানোর, বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার। আর এবার তৃণমূলনেত্রী যে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন সেখান অর্থাৎ নন্দীগ্রামে একাধিক বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি দল। এই নিয়েই সকাল থেকে সরগরম ছিল রাজ্য রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের এজেন্ট দিতে না পারার কথা শোনা গিয়েছে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও। যার জন্য শেষপর্যন্ত ময়দানে নামতে হল খোদ তৃণমূলনেত্রীকে। যাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের বয়ালে।
তৃণমূল এজেন্টরা বসতে পারছেন না বুথে
সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তাদের এজেন্টরা বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ ছিল তৃণমূ কংগ্রেসের। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগো উঠছিল। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো জায়গাগুলি থেকে আসছিল সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। যার জেরে বেলা বাড়তে খোদ ময়দানে নামলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী। রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা হাজির হন বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে। সেখানে তাঁকে দেখেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে ৬৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে ভোট দিতে না পারা নিয়ে।
মমতাকে দেখেই জয় শ্রীরাম স্লোগান
তৃণমূল বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ বয়ালের ১৩, ১৪, ১৮, ১৯, ২০ বুথে। তা দেখতেই ময়দানে নামেন সরাসরি তৃণমূলনেত্রী। এদিকে বয়ালের নম্বর বুথে মমতা হাজির হতেই বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে। যাকে ঘিরে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
রাজ্যপালকে ফোন মমতার
নন্দীগ্রামে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। ভোট দিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের কাছে পুরো পরিস্থিতি জানান তিনি।
চাপা উত্তেজনা নন্দীগ্রাম জুড়ে
বয়ালের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ভোট ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বয়ালের ৭ নম্বর বুথএ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসে থাকতে দেখে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। প্রার্থী হয়ে কীভাবে তিনি বুথের ভেতর রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিজেপি-র অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে গন্ডগোল পাকানো হচ্ছে। বিজেপি-র বিরুদ্ধে পাল্টা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি হয়।
মমতার তির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে
কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এমন হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়ে গিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করছেন তৃণমূলনেত্রী। এই নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার। পুনরায় নির্বাচনেরও দাবি তুলছেন মমতা।
নন্দীগ্রাম নিয়ে ডেরেক
নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন। নন্দীগ্রামে ১০-১১টি বুথ সিআরপিএফ প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ৩৫৪ টি বুথে রয়েছে তৃণমূল এজেন্টরা। সিরআইপিএফ-এর প্রভাব খাটানো নিয়ে কমিশনে যাবে তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রামের মানুষ মমতাকেই জেতাবেন। বললেন ডেরেক।
#VIDEO
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) April 1, 2021
BJP and their mind games! Won’t work.
Trinamool booth agents ROCK SOLID in 354 booths in #Nandigram. We have registered complaints for 10 booths. All attempts by CRPF to influence/intimidate voters not working. People determined to have @MamataOfficial as their MLA pic.twitter.com/g8BU6dmMK0
মমতার ফোন পেয়ে ট্যুইট রাজ্যপালেরবয়ালকাণ্ডে ট্যুইট রাজ্যপালের
বয়ালে বুথে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন মমতর। তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথার পরই ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, ‘মমতার কথা নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আইনের শাসন রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
Issues flagged @MamataOfficial a while ago on phone have been imparted to the concerned.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 1, 2021
There is full assurance of the concerned to adherence to rule of law.
Am confident all will act in right spirit and earnestness so that democracy flourishes.সক্রিয় নির্বাচন কমিশন
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফোন করে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি জানতে ফোন করেন স্বয়ং সুদীপ জৈন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফোন করে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চান উপ নির্বাচন কমিশনার।