একসময় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিল কংগ্রেস। দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকেছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু সেই দলেরই গোটা দেশে এখন সাংসদ সংখ্যা ৫০ নীচে নেমেছে। ক্রমে সাইনবোর্ডে পরিণত হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি, বিরোধীদের থেকে এমন কটাক্ষও শোনা গিয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠা দিবসেও ফের বিজেপি-তৃণমূলের আক্রমণের শিকার হল কংগ্রেস।
সোমবার ছিল শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসের ১৩৬-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগের দিনই বিদেশে পাড়ি দিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এমনতিতেই বিতর্ক তৈরি করেছেন। তবে প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছিল নিদয়া জেলার কংগ্রেস শাখা। কিন্তু তা নিয়েই শুরু হল রাজনৈতির তরজা। সোমবার রানাঘাট পৌরসভার র ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের জন্ম দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীরা। এরপর একটি ট্যাবলো রানাঘাট পৌরসভা এলাকার ২০টি ওয়ার্ড প্রদিক্ষণ করে। প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের দিন কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করে,আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জাতীয় কংগ্রেস ও বাম জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলার ১৭ টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫ টি আসনে জয়লাভ করবে। কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের এই দাবি নিয়েই এরপার আক্রমশ শানায় বিরোধী বিজেপি ও তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোয় বুথগুলি পাহারা দেওয়ার লোক থাকবে না, এমন কটাক্ষ করে বিজেপি নেতৃত্ব। পৌরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে সব আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি সেখানে বিধানসভা ভোটে কীভাবে নদিয়ার জয়লাভ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্থানীয় গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও কংগ্রেসকে আক্রমণের ক্ষেত্রে একসুর শোনা যায় তৃণমূলের গলাতেও। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে, নদিয়া জেলায় কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় রয়েছে। বিধানসভা ভোটে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারবে না। একসময় চরমতম শত্রু বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বাঁধতে হচ্ছে কংগ্রেসকে, অবস্থা এম দাঁড়িয়েছে। এই জোটকে মানুষ মান্যতা দেবে না বলেই দাবি তৃণমূল শিবিরের। সব মিলিয়ে শতাব্দী প্রাচীন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রানাঘাট পৌর এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।