scorecardresearch
 

করোনা বাড়ছে! বিধি মেনেও ভয়ে দার্জিলিঙের ভোটকর্মীরা

রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ভোট কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বুথে বুথে। এই দফায় দার্জিলিং-এর পাহাড় ও সমতলের ৫টি আসনেই হচ্ছে নির্বাচন। এদিকে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করোনা আতঙ্ক কাজ করতে শুরু করেছে ভোট কর্মীদের মধ্যে।

Advertisement
ভোট হবে পাহাড়ের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট হবে পাহাড়ের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রেও
হাইলাইটস
  • শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ রাজ্যে
  • ভোট হবে পাহাড়ের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে
  • ১,৭১৯ টি বুথে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা

রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ভোট কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বুথে বুথে। এই দফায় দার্জিলিং-এর পাহাড় ও সমতলের ৫টি আসনেই হচ্ছে নির্বাচন। এদিকে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করোনা আতঙ্ক কাজ করতে শুরু করেছে ভোট কর্মীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন মূল লক্ষ্য ভোট কর্মীদের। শুক্রবার শিলিগুড়ি কলেজের কেন্দ্রীয় ভোট পরিচালন কেন্দ্র বা ডিসিআরসিতে ভোট কর্মীরা সেই দিকেই নজর দিচ্ছেন। করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে এদিন  নিজেদের বুথের উদ্দেশ্য রওনা দেন ভোট কর্মীরা। 

দার্জিলিং-এর ভোটচিত্র
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্র মিলয়ে ১,৭১৯ টি বুথ রয়েছে। মোট ভোটার ১২ লক্ষ ২২ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে সমতলে থাকা শিলিগুড়ি বিধানসভায় বুথ সংখ্যা ৩১৩ টি। মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ৩৯০ ও ফাঁসিদেওয়া বিধানসভায় ৩৩৩ টি।  শিলিগুড়ি বিধানসভায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৮৬ জন ভোটার রয়েছে। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৪৯ জন। মহিলার ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৩১ জন। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৫১ জন। পুরুষ ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭৬ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৩ জন। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৫৮ জন। পুরুষ ১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৫৭ জন। পাশাপাশি কালিম্পংয়ে ৩০১ বুথ রয়েছে। যাতে ২ লাখ ৯ হাজার ৭৫৫ জন ভোট দেবেন। 

নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ভোটকর্মীরা
গত শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটপর্ব চলার সময় শীতলকুচির মত ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন প্রাণ হারান। ভোটে হিংসা নিয়ে চিন্তিত ভোটকর্মীরা। এই প্রসঙ্গেই ভোট কর্মী সঞ্জিত লাহা বলেন, "শীতলকুচির মতো ঘটনার পর কিছুটা আতঙ্কিত হলেও শিলিগুড়ি ও মহকুমা এলাকার বিধানসভায় সেরকম কোন সন্ত্রাসের ইতিহাস নেই। তবে করোনার চিন্তাই মূল। ভোটারদের আবেদন থাকবে যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।" আরেক ভোটকর্মী নির্জল দে বলেন, "ডিসিআরসিতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তবে শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন বিধানসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে বলে আমি আশাবাদী।" একই সুর ভোট কর্মী নিগম চক্রবর্তীর গলায়। তিনি বলেন, "যেভাবে পরিচালন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না তাতে করোনা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই।"
 

Advertisement

Advertisement