ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র দেওয়াল লিখনে লেপে দেওয়া হল গোবর। এমনই অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার ঘটনা। বিজেপির দাবি, তৃণমূল এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে শাসক দল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়িতে বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ী বিধানসভা এলাকার পশ্চিম ধনতলা গ্রামে।
শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ফুলবাড়ীর পশ্চিম ধনতলা এলাকায় বিজেপির কর্মীরা দেওয়াল লিখছিলেন। তাঁদের দলীয় প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ চলছিল। তখন স্থানীয় রামু বড়ুয়া নামে এক যুবক গোবর দিয়ে সেই দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
ঘটনা দেখে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওই যুবককে ধরে ফেলে। এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। তবে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করা হয়। এ বিষয়ে শাসকদলের স্থানীয় উপপ্রধান মোহাম্মদ রফিক জানান, ওই যুবককে কয়েকদিন আগে বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির কর্মীরা অবশ্য এই কথা মানতে নারাজ। তাঁরা দাবি করেন, ওই যুবক একজন তৃণমূল কর্মী।
তবে এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশই ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকলে ঘটনার খবর দেওয়া হয় নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। পরে ঘটনাস্থলে নিউ জলপাইগুড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা আসে। ওই যুবককে আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিয়ে যায়।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ রয়েছে। এবং যার দরুন মাঝেমধ্যে তিনি নেশা করেন বলে অভিযোগ। এদিকে, দেওয়াল মুছে দেওয়া, কালি লেগে দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এ নিয়ে বার বার বচসায় জড়িয়েছে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে। ভোটের মধ্যে একাধিকবার এমন অভিযোগ উঠেছে।