২৮শে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড, থাকতে পারেন বিজয়ন-মানিক

বলা যেতে পারে, সেখান থেকেই একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চলেছে সিপিআইএম। যদিও ইতিমধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমিতি করছে দল।

Advertisement
২৮শে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড, থাকতে পারেন বিজয়ন-মানিকসিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ছবি: ইয়াসির ইকবাল
হাইলাইটস
  • সিপিআইএমের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম
  • বলা যেতে পারে, সেখান থেকেই একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চলেছে

সিপিআইএমের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এছাড়া থাকবেন দলের শীর্ষ নেতারাও। ২৮  ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সেখানে থাকার কথা কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদেরও।

বলা যেতে পারে, সেখান থেকেই একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চলেছে সিপিআইএম। যদিও ইতিমধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমিতি করছে দল।

এবার বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবে ব্রিগেড সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের ব্রিগেড। এই প্রথম বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথ ভাবে ব্রিগেডে সভা করবে।

সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য সিপিআইএম, বামফ্রন্টের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে। সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চলেছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে এই প্রথম ব্রিগেডে সমাবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের কথা প্রায় পাকা। জোট হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বেশির ভাগ আসন নিয়ে সমঝোতাও হয়ে গিয়েছে। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। এবার বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই এ ব্য়াপারে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে হয়ে গিয়েছে। তারা জোট করেই বিধানসভা ভোটে লড়বেন বলে ঠিক হয়েছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যৌথ সমাবেশ করেছিল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। তখন একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে আয়োজিত সভায় এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে।

এদিকে, বাকি আসনগুলি নিয়ে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়, তা নিয়ে সতর্ক দুপক্ষই। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি তৈরি করেছেন রাজনৈতিক দল, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তাঁর দলের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement