আগামী ৬ এপ্রিল কেরল বিধানসভার ভোট। ১৪০টি আসনে ভোট হবে একদিনেই। দক্ষিণের এই রাজ্যে এবার নিজের জমি তৈরি করতে মরিয়া বিজেপি। জানা যাচ্ছে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কেরলের ১১৫টি আসনে এবার সরাসরি শক্তি মাপতে নামছে বিজেপি শিবির। ২৫টি আসন ছাড়া হচ্ছে সহযোগী দলগুলির জন্যে। রবিবারই নিজেরে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে গেরুয়া শিবির। কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন নিজেই ১১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা স্পষ্ট করেছেন।
শনিবারই দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে ছিল। বাংলরা সঙ্গে সেখানে হাজির ছিলেন কেরলের প্রতিনিধিকারও। বৈঠক শেষে সুরন্দ্রেন জানান প্রার্থী নিয়ে আমাদের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে মেট্রো ম্যান ৮৮ বছরের ই শ্রীধরণের নামই প্রস্তাব করা হয়েছে।
কেরলেও ফের যাচ্ছেন অমিত শাহ
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন ব্রিগেড মাতাচ্ছিলেন তখন কেরলে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী সপ্তাহে ফের একবার কেরল সফর করছেন শাহ। জানা যাচ্ছে আগামী ২৪ ও ২৫ মার্চ কেরল সফর করার কথা রয়েছে তাঁর।
কংগ্রেসও প্রকাশ করল প্রার্থী তালিকা
কেরল বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এখন কাঁটা পথের উপর দিয়েই হাঁটছে। সেখানে একের পর এক উইকেট পতন চাপে ফেলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ৯১টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ময়দানে নামার চেষ্টা করলেও কেরলে মূলত লড়াইটা সিপিআইএম পরিচালিত এলডিএফ জোটের সঙ্গে কংগ্রেস পরিচালিত ইউডিএফ জোটের। দীর্ঘ ডামাডোলের পর স্থির হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটে (United Democratic Front or UDF) হাত শিবির লড়বে ৯১ টি আসনে। একই সঙ্গে IUML (Indian Union Muslim League) ২৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। RSP (Revolutionary Socialist Party) ৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। NCP(K) ২ টি আসন, জনতা দল,CMP, KC(J) এবং RMP ১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের
কংগ্রেস শিবিরে গোষ্ঠী রাজনীতি কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেও প্রার্থী ঘোষণায় এনেকটাই এগিয়ে বামেরা। কেরলে এলডিএফের প্রধান শরিক সিপিএম এ বার লড়বে ৮৫টি আসনে। এলডিএফের শরিক সিপিআই এ বার লড়ছে ২৫ আসনে। আর দুই শরিক কেরল কংগ্রেস (এম) এবং লোকতান্ত্রিক জনতা দল(এলজেডি)-ও তাদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। টানা দু’বার বা তার বেশি দফার বিধায়ক থাকলে তাঁকে আর প্রার্থী করা হবে না, প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নীতিই বজায় রেখেছে কেরলের শাসক সিপিএম। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের জন্য গত বুধবার সিপিএম যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে সেখানে বাদ পড়েছেন ৩৩ জন বিদায়ী বিধায়ক। প্রসেই বাদের তালিকায় আছেন কেরেলন পাঁচ মন্ত্রীও।