জ্যাঠা সামলেছেন শিক্ষা, ভাইপো সেচ-বন, মন্ত্রিত্ব রাজীবের পরিবারে নতুন কিছু নয়

তাঁর জ্যাঠা মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Mrityunjay Banerjee) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। সিদ্ধার্থশংকর রায় (Siddhartha Shankar Roy)-এর আমলে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। আর তাঁর ভাইপো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) রাজ্যের সেচ, বন-সহ আরও কয়েকটি দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজীববাবুর বাবা ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Dhanananjay Banerjee) ছিলেন সাংবাদিক।

Advertisement
জ্যাঠা সামলেছেন শিক্ষা, ভাইপো সেচ-বন, মন্ত্রিত্ব রাজীবের পরিবারে নতুন কিছু নয়রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়
হাইলাইটস
  • মন্ত্রিত্ব তাঁদের পরিবারের কাছে নতুন কিছু নয়
  • তাঁর জ্যাঠা শিক্ষাবিদ মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, সিদ্ধার্থশংকর রায়ের আমলে
  • আর তাঁর ভাইপো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সেচ, বন-সহ আরও কয়েকটি দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজীববাবুর বাবা ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সাংবাদিক

মন্ত্রিত্ব তাঁদের পরিবারের কাছে নতুন কিছু নয়। তাঁর জ্যাঠা মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Mrityunjay Banerjee) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। সিদ্ধার্থশংকর রায় (Siddhartha Shankar Roy)-এর আমলে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। আর তাঁর ভাইপো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) রাজ্যের সেচ, বন-সহ আরও কয়েকটি দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজীববাবুর বাবা ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Dhanananjay Banerjee) ছিলেন সাংবাদিক।

বিচ্ছেদ
গত কয়েকমাস ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তাঁর ক্ষোভ মেটানোর জন্য তৃণমূলের মহাসচিব, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তবে সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি বোঝা গেল। কারণ তিনি মন্ত্রী পদ, বিধায়ক এবং তৃণমূলের সদস্য পদ সব ছেড়ে দিয়েছেন। শনিবার গিয়েছেন দিল্লিতে। বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল। 

কোথায় সমস্যা হচ্ছিল
বন দফতর সূত্রে খবর, তিনি সেখানে মোটামুটি কাজ করেছেন। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়। অভিযোগ,তাঁর পাঠানো ফাইল আটকে গিয়েছে। এমন ঘটনা একাধিকবার হয়েছে। তার কোনওটা কর্মীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত, আর কোনওটা তাদের বদলির। আর এই জন্য বারবার বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। কর্মীদের সমস্যা তাঁকে বিব্রত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন। ফলে তাঁদের নিয়ম মতো বেতন মিলছে না। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের টাকা আটকে দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ। পরে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন কাজ করার চেষ্টা করলেও করতে পারা যাচ্ছে না, তার সমর্থন মিলেছে বন দফতর সূত্রে। তবে তিনি নিয়মিত তাঁর দফতরে উপস্থিত থাকতেন, কাজ করতেন।

বাতিল কেন
আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, তাঁর ফাইল নাকচ করে দেওয়া হলেও, কেন তা করা হচ্ছে, তা জানানো হতো না বলে অভিযোগ। সে সংক্রান্ত নোট দেওয়া হত না। সাধারণত কোনও ফাইল নাকচ করলে, কেন তা নাকচ করা হচ্ছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করে নোট পাঠানো হয়। এটাই দস্তুর। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে এ কাজ করা হত না বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিয়োগ পর্ষদ
বন দফতরে নিয়োগের জন্য আলাদা বোর্ড বা নিয়োগ পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি সে সংক্রান্ত ফাইল পাঠিয়েছিলেন। তবে তা মানা হয়নি। তাই বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছে, পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমেই  নিয়োগ করা হবে বন দফতরে। এ ব্যাপারেও তাঁর মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়েছিল। 

সেচ দফতর
সেচ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) খুব কাজ কাজের মানুষ ছিলেন, নিয়মিত অফিসে আসতেন, এমনই জানাচ্ছেন সেখানকার কর্মীরা। পাশাপাশি কর্মীদের সমস্যা নিয়েও সমাধানের উদ্যোগ নিতেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি স্বপন সরকারের দাবি, তিনি খুব ভাল কাজ করতেন। সব সময় কাজের মধ্যে থাকতেন। সংগঠন ভাল বুঝতেন।

ডোমজুড়
২০১১ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) ডোমজুড় (Domjur) বিধায়ক। ২০১৬ সালে প্রথম মন্ত্রী হন। নিজের এলাকায় সময় দিতেন, জানাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আইআইএমই থেকে ১৯৯৫ সালে তিনি এমবিএ করেছেন। ১৯৯০ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। ওই কলেজ থেকেই স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন তাঁর।

 

POST A COMMENT
Advertisement