scorecardresearch
 

West Bengal Election 2021 : প্রতিদ্বন্দ্বী ২ তারকা! সোনারপুর দক্ষিণে শুভম যেন 'ধ্রুবতারা'

২০১৩ সালে মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তবে যোগ দেননি। তখন তিনি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে এমএসসি পড়ছেন। সুযোগ পেয়েছিলেন বিখ্য়াত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়।

Advertisement
সোনারপুর দক্ষিণে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআই প্রার্থী শুভম বন্দ্যোপাধ্য়ায় সোনারপুর দক্ষিণে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআই প্রার্থী শুভম বন্দ্যোপাধ্য়ায়
হাইলাইটস
  • ২০১৩ সালে মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছিলেন তিনি
  • তবে যোগ দেননি, তখন তিনি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে এমএসসি পড়ছেন
  • সুযোগ পেয়েছিলেন বিখ্য়াত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়

বিদেশ যাওয়ার সুয়োগ হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ যা করার দেশে থেকেই করবেন। আর দেশের বাইরে গেলে যে রাজনীতি করা যাবে মা যে! যা ছোটবেলা থেকে তাঁর স্বপ্ন।

আর হবে না-ই বা কেন! তিনি এসেছেন আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিবার থেকে। ফলে তিনি সেদিকেই ঝুঁকেছেন।

এর আগে ভোটের প্রচারে কাজ করেছেন। আর এবার সরাসরি ভোটে। তিনি সোনারপুর দক্ষিণে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআই প্রার্থী শুভম বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ-এর সভাপতি।

২০১৩ সালে মোটা মাইনের চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তবে যোগ দেননি। তখন তিনি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে এমএসসি পড়ছেন। সুযোগ পেয়েছিলেন বিখ্য়াত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়। তখন ক্যাম্পাসিংয়ে ৫ জন সুযোগ পেয়েছিলেন।

বাকি ৪ জন গেলেও তিনি যাননি। ওই সংস্থার হায়দ্রাবাদের অফিসে ৩ মাস কাজ করতে হত। আর তারপর পাড়ি দিতে হত সুইজারল্যান্ডে সেখানে ফার্মাকো ভিজিল্যান্স অফিসার হিসেবে। হায়দ্রাবাদে তাঁর পাওয়ার কথা ছিল হাজার ষাটেক টাকা। ওই ২০১৩ সালেই। আর বিদেশে গেলে তো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।

এত ভাল প্রস্তাব। না যাওয়ার কারণ কী? প্রচারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। প্রবল ব্যবস্ত তিনি। জানালেন, এলাকা ছেড়ে, রাজ্য ছেড়ে যাব না বলে। এক একজনের এক এক রকম স্বপ্ন ছিল। আমার স্বপ্ন ছিল রাজনীতি করার।

তাঁরা থাকেন হাওড়ায়। হাওড়া জেলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাঁর দাদু  নন্দদুলাল এবং মনিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর তাঁর ঠাকুমা মনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র ফেডারেশ আর আইপিটিএ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত। ফলে তাঁর রাজনীতিতে আসা যেন স্বাভাবিক।

তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের লাভলি মৈত্র এবং বিজেপির অঞ্জনা বসু। দু'জনেই তারকা। তাঁদের সামলাবেন কী করে? শুভমের জবাব, এটা তো ভোটের ময়দান। রাজনীতিতে তারকা তো রাজনৈতিক ব্যক্তি, যাঁরা রাজনীতি জানেন, এমএলএ, এমপির কী দায়িত্ব তাঁরা তারকা হতে পারেন। যাঁরা ভোটের ময়দানে থাকেন, তাঁরা তারকা। তারকা সিরিয়ালের অভিনেত্রী তো হতে পারেন না। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তাঁরা তারকা।

Advertisement

তিনি জানান, এখানে অধিকাশই শিক্ষিত মধ্যবিত্ত অংশ। এখানে জেতা উচিত। ২০১৬, ১৯-এর ভোটে প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে এসেছিলাম। তখন মানুষের এক ধরনের সাড়া ছিল। আর এখন দেখছি, প্রতি ১০ জনে কোথাও ৭-৮, আবার কোথাও ৫-৬ জন বলছেন, এগিয়ে এসে হাত মিলিয়ে, নমস্কার করে, হাত মিলিয়ে, গলা জড়িয়ে বলছেন, চিন্তা নেই, ভোট আপনাকেই দেব। আবাসনে ঘুরেছি। সেখানেও একই অবস্থা। বাসিন্দারা বলছে, তোমার থেকে অনেক প্রত্যাশা।

কেন তাঁরা এমন কথা বলছেন? শুভম জানাচ্ছেন, স্থানীয় মানুষ বলছেন, আপনি শিক্ষিত, তরুণ প্রার্থী। আগে কখনও এমন প্রার্থী পাননি তাঁরা। তাই ভোট আপনাকেই দেব।

 

Advertisement