খড়দার জনসভাতেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুভেন্দুর মুখে এই কথা শুনেই বাবা শিশির অধিকারী, দুই ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও সৌম্যেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছিল। শুভেন্দুর এই দাবির ৪ দিনের মধ্যেই অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জের ছোট সদস্য সৌমেন্দু অধিকারী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। বছরের প্রথম দিন কাঁথির ডরমেটরি ময়দানে দাদার দেখান পথেই বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন সৌমেন্দু। কেবল সৌমেন্দু নন কাঁথি পুরসভার আরও ১৪ জন কাউন্সিলর এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।
মঙ্গলবার খরদায় যখন নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোঁটানোর কথা বলছিলেন শুভেন্দু সেই সময়ই কাঁথির প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দুকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমেন্দু। বৃহস্পতিবারই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সৌমেন্দুর দলবদলের। সেই খবরে নিজেই শিলমোহর দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার সভায় শুভেন্দু ঘোষণা করেন, বিকেলে কাঁথির সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু। সেই সঙ্গে কাঁথি থেকে তৃণমূলকে উচ্ছেদের ডাকও দিয়েছেন শুভেন্দু।
গত ২৩ ডিসেম্বর কাঁথির ডরমেটরি ময়দানে জনসভা করেছিল তৃণমূল। সেখানে শুভেন্দুকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন সেই মাঠেই সৌমেন্দু ছাড়া বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির আরও ১৪ জন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে কাঁথির ৪ প্রাক্তন কাউন্সিলরও। কাঁথি পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২১টি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেতৃত্বকে হঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বিজেপির এই যোগদান মেলা জেলায় এখন প্রতিদিনই চলবে। শনিবার এমনি যোগদান মেলা দেখা যাবে হলদিয়ায়। এমন সময় আসবে তৃণমূলে কোনও কর্মী থাকবে না। এদিকে সৌমেন্দুকে কাঁথি পুরসভার পদ থেকে সরিয়ে দিতেই পুরসভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দুর আরেক ভাই দিব্যেন্দু। এদিকে সূত্রের খবর, যেভাবে তাঁর পরিবারকে ‘মিরজাফর’, ‘বেইমান’ বলা হচ্ছে তাতে যথেষ্ট রুষ্ট , কাঁথির সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারীও। ফলে আগামী দিনে অধিকারী পরিবারে আরো পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা রয়েছে এমনি মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।