একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি-র প্রচার অস্ত্র 'সোনার বাংলা'। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব বিজেপি নেতার মুখেই উচ্চারিত হচ্ছে 'সোনার বাংলা' শব্দবন্ধটি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ার, গত ১০ বছরে মমতা সরকার কিছু করেনি বাংলার জন্য। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গড়বে।
কিন্তু 'সোনার বাংলা' আসলে কী?
'সোনার বাংলা' গড়ার চিন্তাভাবনাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এ বার উদ্যোগী বিজেপি। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রাজ্যে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নৈহাটিতে শ্রমিক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আজ দলের নির্বাচনী অফিসে 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' ক্যাম্পেন লঞ্চ করবেন নাড্ডা।
বুধবার রাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন নাড্ডা। রাতে নিউটাউনে একটি হোটেলে ছিলেন। একদিনের এই বাংলা সফরে আজ সন্ধ্যায় কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। 'সোনার বাংলা' কী ভাবে গড়া যায়, সে বিষয়ে তাঁদের মতামত নেবেন।
'লক্ষ্য সোনার বাংলা' ক্যাম্পেনটি মূলত একটি জনভিত্তিক কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোনার বাংলা নিয়ে সবার মত নেবেন। আগামী ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে জনসাধারণের মত শুনবেন।
রাজ্যজুড়ে 'সোনার বাংলা' গড়ার বিষয়ে ২ কোটি পরামর্শ নেবে বিজেপি। সেই মতো তৈরি করা হবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহার।
কী ভাবে এই পরামর্শগুলি সংগ্রহ করা হবে?
২ কোটি মানুষের পরামর্শ সংগ্রহে বিজেপি একাধিক উপায় তৈরি করেছে। যেমন, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে সব কটিতে LED রথ, এই রথগুলি গোটা রাজ্য ঘুরবে। সেখানে থাকবে সাজেশন বক্স, থাকবে মোবাইল বা ট্যাব, মানুষের দাবিদাওয়ার ভিডিও রেকর্ড করা হবে। গোটা রাজ্যে ৩০ হাজার সাজেশন বক্স রাখা হবে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০টি করে সাজেশন বক্স রাখা থাকবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে মানুষের চাহিদা ও পরামর্শ ওই বাক্সে ফেলতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
৯৭২৭-২৯৪-২৯৪, এই নম্বরটি চালু করছে বিজেপি। নম্বরটিতে মিসড কল করে যে কেউ তাঁর পরামর্শ রেকর্ড করতে পারবেন। এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও এসএমএস পাঠানোও যাবে। এছাড়াও থাকছে একটি ওয়েবসাইট www.lokkhosonarbangla.com। মানুষ তাঁদের পরামর্শ ই-মেল করে জানাতেও পারবেন, ই-মেল আইডি হল, aspirations@lokkhosonarbangla.com।
পাশাপাশি বাংলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপি নেতারা। আগামী কয়েক বছরে বাংলায় কী কী পরিবর্তন করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ সংগ্রহ করবেন তাঁরা।