বাপের ব্যাটা হলে আমাকে আক্রমণ করো, মেয়েকে কেন? তোপ ফিরহাদের

তিনি জানান, ওই ব্যাপারে ইডি-র তরফ থেকে কোনও নোটিশ এখনও পর্যন্ত পাইনি। এদিন কলকাতার দুর্গাপুরে তিনি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement
বাপের ব্যাটা হলে আমাকে আক্রমণ করো, মেয়েকে কেন? তোপ ফিরহাদেররাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ফিরহাদ হাকিম
হাইলাইটস
  • মাদার ডেয়ারি নিয়ে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)র কোনও নোটিশ পাইনি
  • দাবি ফিরহাদ হাকিমের
  • সোমবার কলকাতায় এমনই দাবি করলেন তিনি

মাদার ডেয়ারি (Mother Diary) নিয়ে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কোনও নোটিশ পাইনি। সোমবার কলকাতায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim)। এদিন তিনি জানান, ওই ব্যাপারে ইডি-র তরফ থেকে কোনও নোটিশ এখনও পর্যন্ত পাইনি। তাঁর চ্যালেঞ্জ, আমি রাজনীতি করি। আমার ওপর যা আ্যাটাক হয় হোক। আমার বাড়ির লোকের ওপরে কেন? নারদ তো আমার নামে ৫ বছর আগে করেছে। বাপের ব্যাটা হলে আমার ওপর আক্রমণ করো, আমার বাড়ির ওপরে কেন, মেয়ের ওপরে কেন?

এদিন কলকাতার দুর্গাপুরে তিনি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একটি দুর্গা মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।

ওই অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ তুলে ধরেন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim)। বলেন, সম্প্রীতিই আমাদের ঐতিহ্য। এটাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্মান করেন। এটাই আমাদের পূর্বপুরুষরা শিখিয়েছেন। আজকেই দেখুন না, এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন আলিম ভাই। আর উদ্বোধন হচ্ছে আমার হাত দিয়ে।

এদিন ফিরহাদ হাকিম ( Firhad Hakim) বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের তুমুল সমালোচনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, দিলীপ ঘোষ ভোটের জন্য এইসব কাজ করে বেড়াচ্ছেন। এর আগে ছিল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা। আর এখন তা দাঁড়িয়েছে রাম এবং দুর্গার মধ্যে লড়াই। এই জিনিস শেষ হওয়ার নয়। এরপর দেখা যাবে তাঁরা উচ্চবর্ণ এবং দলিতদের বিভাজন শুরু করে দিয়েছেন। তারপরে কায়স্থ এবং ব্রাহ্মণদের মধ্যেও শুরু করবেন।

এদিকে, সিবিআইয়ের নোটিশের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। মঙ্গলবার তদন্তকারীদের তিনি দেখা করার সময় দিলেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে দেখা করার কথা বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁকে ঠিক কী কারণে ডাকা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।

Advertisement

রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে সমন পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, সোমবারের মধ্যে তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা না করলে তাকে ফের দ্বিতীয়বার সমন পাঠানোর সম্ভাবনা ছিল।

কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু স্ত্রী নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকেও সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। এদিন তাঁর বাসভবনে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

 

POST A COMMENT
Advertisement