একুশের বিধানসভা ভোটে পর্যদুস্ত হয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) মিলে তৈরি করেছিল সংযুক্ত মোর্চা। তারা সাকুল্যে একটি আসন পেয়েছে।
যা রেকর্ড। বিধানসভায় এই প্রথম বাম বা কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক থাকছেন না এর আগে এমন কোনও নজির নেই। এই প্রথম বাংলার বিধানসভা বাম বা কংগ্রেসের প্রতিনিধি-শুন্য।
পরিসংখ্যান থেকে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যেমন দুই জাতীয় দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে নোটা। আবার মায়াবতীর বিএসপি থেকে কম ভোট পড়েছে সিপিআইয়ের খাতায়। যা নজিরবিহীন।
বিএসপি থেকে কম ভোট পেয়েছে আরএসপি-ও। এটাও নজিরবিহীন। কারণ বাংলায় আরএসপি শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে বলে বলা হয়। বামফ্রন্টের শরিক হিসেবে এখানে দীর্ঘদিন তারা ক্ষমতায় ছিল। তবে তাদের সংগঠনে যে ক্ষয়িষ্ণু, পরিসংখ্যান সেটাই বলছে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, এবার নোটায় ভোট পড়েছে ১.০৮ শতাংশ। অন্যদিকে, সিপিআই পেয়েছে ০.২০ শতাশ। আর বিএসপি পেয়েছে ০.৩৯ শতাংশ।
সিপিআই এবং বিএসপি জাতীয় দল। দেশে ৭টি জাতীয় দল রয়েছে। জাতীয় দলের থেকে নোটা বেশি ভোট পেয়েছে, এটা নজিরবিহীন। অন্যদিকে বিএসপি-র থেকে আরএসপি কম ভোট পেয়েছে। আরএসপি পেয়েছে ০.২১ শতাংশ ভোট। আর বিএসপি পেয়েছে ০.৩৯ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ওঁরা তারকা। কেউ বড় পর্দার। আবার কেউ বা ছোট পর্দার। এমন অনেক তারকা এবার ভোটের ময়দানে ছিলেন।
এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তারকাদের প্রার্থী করেছিল। তৃণমূল এবং বিজেপি অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের টিকিট দিয়েছিল। সেখানে বামেরা মাত্র একজন তারকাকে ভোটের টিকিট দিয়েছিল।
তবে দেখা যাচ্ছে, তারকাদের অনেকে পছন্দ করছে না! ভোটের ফলাফল তো তাই বলছে। এর কারণ হল তাঁরা যেখানে ভোটে লড়েছিলেন, সেখানে নোটা পড়েছে।
নোটা মানে নান অব দ্য অ্যাবভ। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীকেই কোনও ভোটারের পছন্দ না হলে তিনি সেখানে ভোট দিতে পারেন। এমনই ব্যবস্থা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন।
আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তারকা প্রার্থীদেরও পছন্দ করছেন না মানুষ। তারকা-কেন্দ্রেও নোটা পড়েছে। অর্থাৎ মানুষ তাঁদেরও প্রত্যাখান করেছেন।