কোচবিহারের শীতলকুচিতে মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলের সভা থেকে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামনে আসা অডিও ক্লিপের মাধ্যমেই মমতার এই চক্রান্ত সামনে এসেছে বলে দাবি করেন নমো। তাঁর কথায়, 'দিদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, মৃতদেহ নিয়ে মিছিল বের করতে। দিদি মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করছেন। নিজের লাভের জন্য আর কী কী করবেন উনি?'
রাজ্যে হিংসার ঘটনার জন্যও এই সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ করেন মোদী। তৃণমূলের তোষণনীতির জন্যই রাজ্যে হিংসা হয়েছে বলে দাবি মোদীর। বলেন, 'আপনাদের ৩ বছর আগের রামনবমীর কথা মনে আছে? আসানসোল, রানিগঞ্জের দাঙ্গা কে ভুলতে পারে? এই সব দাঙ্গায় মানুষের জীবনের পরিশ্রম পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সবথেকে বিপদে পডে়ছেন। এই সরকারের তোষণ এর জন্য দায়ী।'
আরও পড়ুন: বুথেই আটকালেন মদন-সুজিত-পার্নো, সব্যসাচীকে ঘিরে বিক্ষোভ
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েও মমতাকে আক্রমণ করেন মোদী। কেন্দ্র সরকার একাধিকবার বৈঠক ডাকলেও মমতা সেখানে উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ করে মোদীর সংযোজন, 'এক আধবার না এলে বোঝা যায় যে কাজে আটকে গিয়েছেন। কিন্তু বারবার না আসায় একটা জিনিস বোঝা যায়, উনি বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য সময় দিতে চান না।'
মমতাকে অহংকারী বলেও বেঁধেন নমো। তাঁর কথায়, 'দিদির চোখে অহংকারের পর্দা। তাই তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর চোখের সামনেই হিংসার ঘটনা ঘটলেও দিদি নীরব দর্শক।' এবার মমতার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া সুনিশ্চিত বলেও দাবি করেন বিজেপির নম্বর ওয়ান।
পাশাপাশি, আসানসোলে শিল্প গড়ে তোলা হবে বলে দাবি করেন মোদী। তিনি জানান, এখানে শিল্পের সব সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মাফিয়ারাজ, তোলাবাজি থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে বিজেপি-কেই ক্ষমতাই আনতে হবে।
এর আগের দফাগুলির মতো পরবর্তী দফাগুলিতে সাধারণ মানুষকে বেশি করে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান মোদী।
তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কুকথা বলেছেন বলেও অভিযোগ করেন মোদী। গঙ্গারামপুরের সভা থেকে বলেন, 'আমাকে দুর্যোধন, দু:শাসন, শ্রমিকদের হত্যাকারী বলেছেন। দিদি আমাকে শালা বলেছেন। দুষ্টুবুদ্ধি বলেছেন। বলেছেন, আমি যেখানেই যাই, সেখানে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। আমাকে খারাপ লোক বলেও আক্রমণ করেছেন দিদি।' তারপরই মোদীর সংযোজন, 'দিদি আমাকে গালি দিয়ে অপমান করেছেন। আমার তাতে কিছু আসে যায় না। তবে আমি মনে করি, এতে বাংলার লোকের অপমান হয়েছে। অপমানিত হয়েছে বাংলার সংস্কৃতি।'