scorecardresearch
 

নিজের গড়েই ধুয়ে মুছে সাফ! ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ল অধীরের কংগ্রেস

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রবণতা দেখে বোঝা যাচ্ছে ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। ২০০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। অন্যদিকে বিজেপি আটকে ৮০ থেকে ৯০ এর ধরে। সংযুক্ত মোর্চা একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সবথেকে খারাপ অবস্থা অধীর দুর্গে। মুর্শিদাবাদ ও মালদাতে কার্যত কোনও ছাপই রাখতে পারেনি কংগ্রেস। নিজের গড়েই কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ।

Advertisement
অধীর চৌধুরী অধীর চৌধুরী
হাইলাইটস
  • নিজের গড়েই ধুয়ে মুছে সাফ
  • ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ল অধীরের কংগ্রেস
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রবণতা দেখে বোঝা যাচ্ছে ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে তৃণমূল। ২০০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। অন্যদিকে বিজেপি আটকে ৮০ থেকে ৯০ এর ধরে। সংযুক্ত মোর্চা একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সবথেকে খারাপ অবস্থা অধীর দুর্গে। মুর্শিদাবাদ ও মালদাতে কার্যত কোনও ছাপই রাখতে পারেনি কংগ্রেস। নিজের গড়েই কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু জেলাতে ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এমন অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভবিষ্যত। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল ৪৪টি আসনে।

এদিন প্রাথমিক প্রবণতা অনুসারে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপির তারকা প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, লকেটরা। প্রাথমিক গণনায় বিজেপির থেকে অনেকগুলি আসনে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আজতককে তিনি বলেন, 'কোনও কোনও জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে কংগ্রেস দল। সেই সব জায়গায় কংগ্রেসকে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে সেই সব আসনে সুবিধা পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।' দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি ভোটে খারাপ ফল হবে বলে ধরেই নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

এক নজরে এবারের বাংলা বিধানসভা নির্বাচন

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে এবার ২৯২টি আসনে ফল প্রকাশ হবে ২রা মে। ২টি আসনে করোনার জেরে প্রার্থী মৃত্যুর পরে ওই আসনে পরে নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচনে রাজ্যে ২৯৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বাগমুণ্ডি আসনটি তারা ছেড়েছে জোটসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে। অন্যদিকে, ২৯১টি আসনের প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিন্তু সেখানে মোর্চা শিবির কার্যত দুই ভাগ। বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং শিবির দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়ে জিএনএলএফ সমর্থন দিয়েছে বিজেপিকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। বামদল গুলি, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফ মিলে নতুন জোট তৈরি করেছে। প্রত্যেক দলই প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু আসনে জোট হয়নি। সেখানে শরিক দলগুলি একের অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নেমে আব্বাস সিদ্দিকী আদৌ কেমন সাফল্য পায়, সেই দিকেও ছিল নজর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে সংযুক্ত মোর্চা আদৌ কোনও দাগ কাটতে পারেনি। বিজেপি ৮৮ কাছাকাছি রয়েছে। অপরদিকে তৃণমূল ম্যাজিক ফিগার পার করে নিয়েছে। 

Advertisement

Advertisement