Bowbazar Crisis KMC Kolkata Metro Meeting: বৌবাজার-সঙ্কট কাটাতে আজ, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠক হবে। এই সমস্য়া নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আতঙ্কে-উদ্বেগে দিন কাটছে দুর্গা পিতুরী লেনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।
৮২ পরিবার সঙ্কটে
সঙ্কটে বৌবাজারের ৮২ পরিবার। তাঁরা এখন ঘরছাড়া। ফাটল দেখা দিয়েছে তাঁদের বাড়ির বিভিন্ন অংশে। সেগুলো মেরামতের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
অধীরের চিঠি
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি রেলমন্ত্রীকে এলাকা পরিদর্শনে আসার আর্জি জানিয়েছেন। অধীর লিখেছেন, ওই এলাকার মানুষ ভীত। আমি আপনাকে এই ঘটনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষে করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কতটা বিপদ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসার জন্যও অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: টাটা-বিড়লার এই ২ শেয়ার মালামাল করে দিয়েছে, ২,৭০০ শতাংশ রিটার্ন
আরও পড়ুন: 'নিউ ইয়ারে আমি খাইয়ে দেব,' বিহারে বিষ মেশানো খাবার দিয়ে স্ত্রীকে খুন
আপাতত সমস্য়া মিটেছে
মেট্রোর টানেলে জল ঢোকা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১১টি পকেট দিয়ে জল ঢুকেছে। দু'টো টানেল বোরিং মেশিন বের করার জন্য শ্যফ্ট বানানো হয়েছিল। সেখানে ৩৮ মিটার এলাকা কংক্রিট করা হচ্ছিল। সে কাজ জলার সময় দেখা যায়, ৯ মিটার কাজ বাকি থাকার সময় জল ঢোকা শুরু হয়।
মোট ১১টি আলাদা সোর্স থেকে জল নাগাড়ে ঢুকছে। সেইসঙ্গে মাটি এবং বালি। এর ফলে ওখানকার মাটির স্থিতাবস্থা নড়বড় হয়ে যায়। আর সে কারণে মাটির ওপরে থাকা বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। এই উৎস বন্ধ করার দিকে জোর দেওয়া হয়।
কংক্রিটের কাজ চলছিল, তেমন চালিয়ে যাওয়া হয়। এর পাশাপাশি করা হয় গাউটিং। সিমেন্টের সঙ্গে একটা রাসায়নিক মিশিয়ে মাটি শক্ত করার কাজ চলেছে। সেই উৎস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জল বেরনো বন্ধ হয়েছে। সেইসঙ্গে মাটি, বালিও। সেটা এখনও রয়েছে। ফাটল বাড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে এখন। আর নতুন কোনও উৎস থেকে জল ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, দেখা হচ্ছে। আরও বেশি গাউটিং করা হচ্ছে। পরে ক্ষয়ক্ষতির বিচার করা হবে।
আজ কলকাতা পুরসভার সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠক। মানুষ চরম সমস্যায় এই ঘটনার জেরে। ঘরবাড়ি ছেড়ে তাঁদের ঠাঁই হোটেলে। এর জেরে ব্যবসা থেকে লেখাপড়া- সব প্রভাবিত হয়েছে।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ
তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বাড়ি রয়েছে সেখানে। তিনি জানান, খুবই আতঙ্কে রয়েছি। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা। সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, আগের বার মেট্রোর তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছি। এবার কোনও নোটিস ছাড়াই তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাগল-ভেড়ার মতো লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটাও জানি না। কবে ফিরব তা-ও জানি না। আর এক বাসিন্দা জানান, কোনও ভাবে চলে আসতে হয়েছে। এদিকে, গাড়িতে গাদাগাদি করে চাপিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে।