CITU: অনলাইন ডেলিভারি অনেক তরুণ-তরুণীর জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করেছে। তবে পদে-পদে তাঁদের সমস্যা পোহাতে হয়। করোনা সংক্রমণ, লকডাউনের ফলে তাঁদের আয় কমে গিয়েছে অনেকটাই। কমেছে কাজের পরিধিও।
একের পর এক সমস্যা
তার ওপর দফায় দফায় তেলের দাম বেড়েছে প্রচুর। এটা সমস্য়া আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর পাশাপাশি আরও সমস্যা রয়েছে তাঁদের। কাজের কোনও স্থায়িত্ব নেই, কোনও চুক্তিও নেই।
২৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন
বলা যায়, যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করেন, একই অবস্থা তাঁদেরও। এই কর্মীদের নিয়ে মানে চুক্তিবিহীন অস্থায়ী কর্মী যাঁরা, তাঁদের নিয়ে সিটু (CITU) নয়া এক সংগঠন খুলতে চলেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঁচা বাদাম এবার ভোজপুরিতে, রাকেশ মিশ্রার ভিডিও VIRAL
আপাতত কলকাতা এবং আশপাশে
সিটু (CITU)-র নয়া ওই সংগঠনের নাম অ্যাপ বেসড ডেলিভারি অ্যান্ড টেম্পোরারি (গিগ) ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (App Based Delivery and Temporary GIG Workers' Union)। আপাতত কলকাতা এবং তার আশপাশে এ রকমের কর্মীদের নিয়ে সংগঠন কাজ করবে। তাদের প্রথম সম্মেলন হবে কলকাতার কৃষ্ণপদ ঘোষ স্মৃতি ভবনে।
সিটু জানাচ্ছে
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাগ্নিক সেনগুপ্তর দাবি, অনলাইন ডেলিভারি কর্মীদের কোনও নিয়োগপত্র নেই। তাঁদের ডেলিভারি পার্টনার বলা হয়, যাতে শ্রমিকের পরিচয় না দিতে হয় তাই।
তাঁর আরও দাবি, খাবার ডেলিভারি দিয়ে এখন আগের থেকে কম টাকা মিলছে। আগে তা করল পাওয়া যেত ৩৫ টাকা। এখন হয়েছে ২০ টাকা হয়েছে। দুর্ঘটনা হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেই। তার ওপর নিজেদের বাইক নিজে কাজে নামতে হয়। তেলের দাম আকাশছোঁয়া।
বছর কয়েক আগে অনেকটা একই উদ্যোগ নিয়েছিল সিটু (CITU)। তবে সেটা মূলত ছিল অল্প বয়সী শ্রমিকদের জন্য। বিভিন্ন পেশার তরুণ-তরুণী সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় দু'টো কনভেনশন করা হয়েছিল।
এবার সিটু (CITU)-র লক্ষ্য নির্দিষ্ট। ডেলিভারি বয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন যাঁরা, ফ্রিল্যান্সিং করছেন- এমন কর্মীদের দাবিদাওয়া পূরণে সংগঠন গড়ে তোলা। তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণে লাগাতার আন্দোলন। সেই লক্ষ্য়ে ঘর গোছাচ্ছে সিপিআইএম-এর শ্রমিক সংগঠন।
তারা জানাচ্ছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন এ রকম যে কোনও শ্রমিক, তা সে ডেলিভারি হোক বা বাইক-ট্যাক্সি চালক, যাঁদের কাজের কোনও স্থায়িত্ব নেই, তাঁরা সভায় আসুন।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্য়াটারিং, সেলসের কাজ, ব্য়াক অফিসে টেকনিক্যাল অ্য়াসিস্ট্যান্ট বা অর যে কোনও অফিসে, কারখানায়, যাঁদের কোনও নিয়োগপত্র নেই, তাঁদের সম্মেলনে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গিগ ও প্ল্য়াটফর্ম ওয়ার্কার্স কনভেনশনে নিজেদের দাবিদাওয়া, অভাব-অভিযোগ, কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কাররা যখন শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন, তখন শ্রমিকদের আইনি কী কী সুবিধা মেলে, জানা যাবে তা-ও। এমনই দাবি করেছে সিটু।