ISIS terrorist arrest in Kolkata: IS জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দামদের মাস্টারমাইন্ড কুরেশি গ্রেফতার, আনা হচ্ছে কলকাতায়

ভারতেও যে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসএস ঘাঁটি গেড়েছে, তা জানান দেওয়াই লক্ষ্য ছিল। ছক ছিল কোনও ধর্মগুরুকে খুনের। শুধু তাই নয়, সেই খুনের দৃশ্য লাইভ দেখানোরও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়ে জঙ্গি সন্দেহে দুই যুবত। তাদের জেরা করে খোঁজ মিলেছে মাস্টার মাইন্ডেরও। জানা গেছে, সেই মগজ ধোলাই করেছিল ধৃতদের। মধ্যপ্রদেশ থেকে ওই মাস্টারমান্ডকে ধরেছে কলকাতা এসটিএফ। আনা হচ্ছে কলকাতায়। 

Advertisement
IS জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দামদের মাস্টারমাইন্ড কুরেশি ধৃত, আনা হচ্ছে কলকাতায়জঙ্গি সন্দেহে ধৃত। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • ভারতেও যে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসএস ঘাঁটি গেড়েছে, তা জানান দেওয়াই লক্ষ্য ছিল।
  • ছক ছিল কোনও ধর্মগুরুকে খুনের।

ভারতেও যে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসএস ঘাঁটি গেড়েছে, তা জানান দেওয়াই লক্ষ্য ছিল। ছক ছিল কোনও ধর্মগুরুকে খুনের। শুধু তাই নয়, সেই খুনের দৃশ্য লাইভ দেখানোরও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়ে জঙ্গি সন্দেহে দুই যুবত। তাদের জেরা করে খোঁজ মিলেছে মাস্টার মাইন্ডেরও। জানা গেছে, সেই মগজ ধোলাই করেছিল ধৃতদের। মধ্যপ্রদেশ থেকে ওই মাস্টারমান্ডকে ধরেছে কলকাতা এসটিএফ। আনা হচ্ছে কলকাতায়। 

ধৃতের নাম আবদুল রকিব কুরেশি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন। রকিব কুরেশি একসময় নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র সদস্য ছিল। আগেই ধৃত মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল বলেই দাবি করেছেন গোয়েন্দা অফিসাররা।

হাওড়া থেকে জঙ্গি (ISIS) সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া মহম্মদ সাদ্দামের গুরু এই কুরেশি। তাঁর হাত ধরেই সাদ্দাম আইএস-এ যোগ দিয়েছিল বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। যদিও সবই তদন্তসাপেক্ষ। 

আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে হাওড়ায় গ্রেফতার ২ যুবক, ISIS লিঙ্ক রয়েছে; দাবি পুলিশের

শুক্রবার রাতে হাওড়া থানার অন্তর্গত আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয় খিদিরপুর এলাকা থেকেই। রাতেই হাওড়ার ফ্ল্যাটে সাদ্দামকে নিয়ে এসে তল্লাশি অভিযান চালায় এসটিএফ। সেইসঙ্গে শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেনে আরও সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। সেখান থেকে সৈয়দ আহমেদ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জায়গা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও বেশকিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে এসটিএফ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: Terrorist Arrested: আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগ! রাজ্যে ফের জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক

এই সাদ্দাম ও সৈয়দ ইসলামিক স্টেটের হয়ে কাজ করে বলে দাবি তদন্তকারীদের। জানা গেছে, সাদ্দাম প্রায়ই উত্তর ভারতে যেত। তার সংগঠনের বৈঠক হতো সেখানে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই কুরেশিই ছিল তাদের মাথা। 

সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৯ সালে ৮ মাসের জন্য নয়ডায় কাজ করতে গিয়েছিল উচ্চশিক্ষিত সাদ্দাম। সেখান থেকে ফিরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেয় সে। তখন থেকেই আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে এমটেক পড়ুয়া ওই যুবক। বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে নিজে পড়াশোনা শুরু করে। যাদের মগজধোলাই করে, তাদেরকেও বিদেশি অস্ত্র নিয়ে পরামর্শ দিতে শুরু করে সাদ্দাম।

Advertisement

আরও পড়ুন-BJP-র গঙ্গা আরতি ঘিরে বাবুঘাটে ধুন্ধুমার, আটক সজল

POST A COMMENT
Advertisement