সন্ধে সাতটার পর আর লোকাল ট্রেন চলবে না। রাজ্যের নয়া কোভিড বিধি ঘোষণা করতে গিয়ে রবিবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। তারপর থেকে সাধারণ যাত্রীদের মনে প্রশ্ন, তাহলে বিভিন্ন স্টেশন যেমন বারুইপুর, বিধাননগর ইত্যাদি থেকে যে সব স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার সময় ৭ টার পর, সেই ট্রেনগুলির কী হবে? এই নিয়ে সংশয় দূর করল রেল।
এই বিষয়ে আজতক বাংলাকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ৭টা পর্যন্ত লোকাল ছাড়বে হাওড়া, শিয়ালদা ইত্যাদি প্রান্তিক স্টেশন থেকে। তারপর ওই সব প্রান্তিক স্টেশন থেকে আর কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। তাঁর কথায়, 'বিভিন্ন প্রান্তিক স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেন ছাড়ার শেষ সময় সন্ধে সাতটা। সাতটা এক মিনিটে যদি কোনও ট্রেনের টাইম থাকে, সেটিও আর ছাড়বে না। স্বাভাবিকভাবেই ওই দুটো প্রান্তিক স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর বাকি স্টেশন অর্থাৎ হাওড়া ও শিয়ালদা শাখার অন্য স্টেশনগুলিতে নির্ধারিত সময়ে লোকাল যাবে। তবে সাতটার পর যে সব ট্রেনগুলি প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে ছাড়ে সেগুলি চলবে না। ফলে যাত্রীদের সেই মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।'
আরও প়ড়ুন : ৫০ শতাংশ যাত্রী বিধি শিকেয়, স্টেশনে ভিড়
এতজন যাত্রীকে কি সন্ধে সাতটা পর্যন্ত ট্রেন ছেড়ে সামাল দেওয়া সম্ভব? উত্তরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, 'এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। রাজ্য সরকার সেকরমই নির্দেশিকা দিয়েছে। সেই নির্দেশ না মানলে তাহলে আর বিধিনিষেধ কী?'
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ আটকাতে রাজ্য সরকার রবিবার ঘোষণা করেছে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। তবে সেই বিধি কার্যত মানা হচ্ছে না। সোমবার সকাল থেকে সেই ছবি ধরা পড়েছে। এদিকে এই ছবি দেখে আতঙ্কিত চিকিৎসকরা। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
আরও পড়ুন : তৃতীয় ঢেউ? দেশে আক্রান্ত ৩৩, ৭৫০; সংক্রমিতে দ্বিতীয় বাংলা
এদিন সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদা, বিধাননগর, বনগাঁ, বারুইপুর-সহ প্রায় সব স্টেশনে দেখা যায় থিকথিকে ভিড়। অফিসটাইমে সেই ভিড় আরও বাড়ে। অনেকের মুখে আবার মাস্কও দেখা যায়নি। ট্রেনে বসার আসনও ভর্তি।