scorecardresearch
 

MP-MLA ছাড়া এন্ট্রি নয়! তাই কি তৃণমূলে ব্রাত্যই রাজীবরা?

বিজেপি ছেড়ে যখন তৃণমূলে যাওয়ার ধুম তখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা কিন্তু ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছেন। বারবার দরজায় কড়া নেড়েও জোড়াফুলে মিলছে না এন্ট্রি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছেন বিধায়ক বা সাংসদ না হলে বিরোধী পক্ষের জন্য দরজা না খোলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল হাইকমান্ড।

Advertisement
কেন তৃণমূলনেত্রী  রাজীবদের দলে ফেরার সিগন্যাল দিচ্ছেন না? কেন তৃণমূলনেত্রী রাজীবদের দলে ফেরার সিগন্যাল দিচ্ছেন না?
হাইলাইটস
  • বিজেপি ছেড়ে বিজয়ী সাংসদ-বিধায়কদের তৃণমূলে যাওয়ার ধুম
  • কিন্তু চেষ্টা করেও জোড়াফুলে ফিরতে অক্ষম রাজীবরা
  • কেন তৃণমূলনেত্রী দলে ফেরার সিগন্যাল দিচ্ছেন না?

পর পর উইকেট পড়ছে বিজেপিতে। গত জুন মাস থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত চার বিধায়ক ও এক সাংসদ গেরুয়া শিবির থেকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আতশকাচে আরও ছয় বিধায়ক রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যার মধ্যের সবার আগে রয়েছেন রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি যেভাবে নিয়মিত তোপ দেগে চলেছেন তাতে যেকোন মুহুর্তে শিবির বদল ঘটতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিজেপি ছেড়ে যখন তৃণমূলে যাওয়ার ধুম তখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা কিন্তু ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছেন। বারবার দরজায় কড়া নেড়েও জোড়াফুলে মিলছে না এন্ট্রি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছেন বিধায়ক বা সাংসদ না হলে বিরোধী পক্ষের জন্য দরজা না খোলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল হাইকমান্ড।

 

 

বিজেপি-র ‘বিয়োগপর্ব’ চলছেই 
ভোটের আগে দেখা যেত তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার হিড়িক। তবে নির্বাচন মিটতেই সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন বিজেপির হেভিওয়েটরা নাম লেখাচ্ছেন ঘাসফুলে। যার শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। এবারই প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায়। বিজেপির টিকিটে জিতলেও গত ১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে  নিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ঘটে ঘরওয়াপসি।  এর পরে একে একে আরও তিন বিধায়ক চলে যান  বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে। প্রথমে  বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, তারপর বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। এরা তিনজনেই বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে ছেড়েছিলেন। সেই অর্থে মুকুল-সহ চার বিধায়কের এটি ঘরে ফেরা বলা যায়। তবে সব থেকে চমক দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ গত শনিবার নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। 

 

 

Advertisement

বারবার কড়া নাড়ছেন রাজীবরা
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে একাধিক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গেছে তাঁকে। এমনকি সুকান্ত মজুমদারকে যেদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি করল সেদিনও নাকি রাজীব ফের কড়া নেড়েছিলেন তৃণমূলে। পুরনো দলে ফেরার জন্য ক্রমাগত সিগন্যাল দিয়ে যাচ্ছেন রাজীব। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের মতোই প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসও তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ভোট পরবর্তী সময়ে সোনালি গুহও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লিখে দলে ফিরতে চেয়েছিলেন। একইভাবে তৃণমূলে ফিরতে আবেদন জানিয়েছিলেন মালদার প্রাক্তন বিধায়ক সরলা মুর্মু, উত্তর দিনাজপুরের অমল আচার্য প্রমুখ। কিন্তু এদের সকলকে নিয়েই নিশ্চুপ মমতা।

আরও পড়ুন: ৬ বছর আগের ঝালমুড়ি বিতর্ক, মমতার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল? জানালেন বাবুল

আরও পড়ুন: গ্রামের ছোট চালের মুড়ি খাও', এবার বাবুলকে পরামর্শ মমতার

কেন নিশ্চুপ রয়েছেন নেত্রী?
তৃণমূলের  সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েই অভিষেক বলেছিলেন, 'যাঁরা হেরেছেন তাঁরাই শুধু নন, বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হয়েছেন, এমন অনেকে দলে আসতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির হাতে ছেড়েছেন। পরবর্তী মিটিংয়ে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।' পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে অভিষেক ফাঁকা আওয়াজ দেননি। সত্যি সত্যি বিজেপির একাধিক বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন জোড়াফুল শিবিরে। সাংসদ বাবুলও পাল্টে ফেলেছেন দল। ভোটের আগে শিবির বদলানো পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও অঘোষিতভাবেই ঘর ওয়াপসি ঘটিয়েছেন। এর মাঝেই প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নিরাপত্তা হঠাৎ করে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। আর এই ঘটনাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে তাহলে কি এবার দিন্দাও অন্য পথে হাঁটতে চলেছেন। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের  সন্দেহভাজনের  তালিকায় রয়েছেন আরও কমপক্ষে ছ’জন। ঘটনাপ্রবাহ যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হলে আপাতত শাসক শিবিরে ঢোকার অনুমতি মিলছে না। 

 

Advertisement