রামচন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত জায়গা দর্শন করাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। রামায়ণ সার্কিট স্বদেশ দর্শন স্কিম শুরু করতে চলেছে আইআরসিটিসি। চলতি বথরের ২১ জুন থেকে শুরু হবে এই পরিষেবা। রেলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
নেপালেও যাওয়ার সুযোগ
ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘোরার পাশাপাশি দেখানো হবে রাম জানকী মন্দির। যা নেপালে অবস্থিত। দিল্লির সফদরজং রেল স্টেশন থেকে সফর শুরু হবে ভারত গৌরব এসি টুরিস্ট ট্রেনের। সব মিলিয়ে ১৮ দিনের সফর।
ট্রেনে খাওয়াদায়ার ব্য়বস্থা করা হবে। সেখানে নিরামিষ খাবার পাওয়া যাবে। সেখানে থাকছে প্যান্ট্রি করা। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পরিষেবা দেওয়া হবে যাত্রীদের। থার মধ্যে রয়েছে ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিও থাকবে।
ভারত গৌরব টুরিস্ট ট্রেনে দশটি থার্ড এসি ক্লাস কোচ থাকবে। একটি ট্রেনে সেখানে সব মিলিয়ে ৬০০ জন যাত্রী যেতে পারবেন। টাকা লেনদেনের জন্য আইআরসিটিসি পেটিএম এবং রেজরপে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে।
কোথায় কোথায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম ভারত গৌরব টুরিস্ট ট্রেন ছাড়বে ২১ জুন। ভগবান রামের জীবন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেতে পারেবন যাত্রীরা। দিল্লি থেকে ছাড়ার পর প্রথম গন্তব্য হবে অযোধ্যা। যা রামের জন্মস্থান। সেখানে দর্শনার্থীরা শ্রীরামজন্মভূমি মন্দির এবং হনুমান মন্দির দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি নন্দীগ্রামে ভারত মন্দির দেখার সুযোগও মিলবে।
আরও পড়ুন: কাঁচা মাংস খেয়ে টানা ৭৭ দিন কাটালেন যুবক, Instagram-এ ভাইরাল
আরও পড়ুন: শুয়ে শুয়েই কামালেন কোটি কোটি টাকা, নজির তৈরি করেছেন এই যুবক
আরও পড়ুন: বাজেটের পর 'রকেট' হতে পারে এই স্টক, দু'দিনেই ঘরে ঢুকতে পারে মোটা কামাই
তারপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বক্সারে, মহর্ষি বিশ্বমিত্রের আশ্রম দেখানোর জন্য। এরপর রামরেখা ঘাট। সেখানে তাঁরা গঙ্গায় ডুব দিতে পারবেন। সেখান থেকে ট্রেন যাবে সীতামাড়ী। সেটা সীতার জন্মস্থল। তারপর সড়ক পথে নেপালের জানকপুরে। সেখানে তাঁদের থাকার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। পরে তাঁরা জনকপুরে রাম-জানকী মন্দির দেখতে পাবেন। এরপর ট্রেন আসবে দুনিয়ার অন্যতম প্রাচীন শহর বারণসী।
সেখানে তাঁদের সীতা সমাহিত স্থল, প্রয়াগ, শ্রীঙ্গভেরপুর এবং চিত্রকূট নিয়ে যাওয়া হবে। বারাণসী, প্রয়াগ এবং চিত্রকূট তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এরপরের ট্রেন যাত্রা শুরু হবে নাসিক থেকে। তাঁদের ত্র্যম্বকেশ্বর মন্দির এবং পঞ্চবটী নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর প্রাচীন শহর কৃষ্কিন্ধ্যা, হাম্পি দেখানো হবে। অঞ্জনয়েন্দ্রী, যা হনুমানের জন্মস্থল বলে পরিচিত, সেখানেও নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর দর্শনার্থীরা পৌঁছবেন রামনাথস্বামী মন্দির এবং ধনুষ্কোটিতে।
সেখানে রাতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তারপরের গন্তব্য কাঞ্চিপুরম। সেখানে রয়েছে শিব কাঞ্চি, বিষ্ণু কাঞ্চি এবং কামাক্ষী মন্দিরে। এরপর সফর শেষের দিকে। তাঁরা চলে আসবেন ভদ্রাচলমে। যা রয়েছে তেলেঙ্গানায়। এটা দক্ষিণ ভারতের অযোধ্যা বলে পরিচিত। সেখান থেকে ট্রেন ফিরে যাবে দিল্লিতে। ১৮ দিনে সব মিলিয়ে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা হবে। এ জন্য খরচ পড়বে ৬২ হাজার ৩৭০ টাকা।
বুক করার জন্য
আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট irctctourism.com থেকে যাত্রা বুক করা যাবে। এবং এ ব্য়াপারে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি 8287930202/8287930297 নম্বরে ফোন করেও তথ্য পাওয়া যাবে।