Relationship: যে কোনও মানুষের জীবনে প্রেম, সম্পর্ক, ডেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সুন্দর মুহুর্ত তৈরি হয়। যার স্মৃতি সব সময় থাকে।
ফোনে কথা বলা, চ্য়াট করা, একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো, ডেটে যাওয়া। এমনই হাজারও জিনিস। যা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।
তবে সম্পর্কে থাকার কিছুদিন পর অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ঝগড়াও হয়। আর পরে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর ফলে হিসেবে হয়ে যায় ব্রেক আপ।
অনেক সময় মজা করতে গিয়ে বয়ফ্রেন্ড এমন কথা বলে ফেলে, যা তার সঙ্গীকে আঘাত করে। এ ব্য়াপারে একটি সতর্ক থাকা দরকার। দেখে নেওয়া যাক, কী কী জিনিস থেকে দূরে থাকা দরকার।
আরও পড়ুন: বাদামকাকুর সঙ্গে তুমুল নাচ স্যান্ডি সাহার, সেরে নিলেন 'মালাবদল'
স্ক্রিনশট পাঠাতে বলা
এটা আজ জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই স্ক্রিনশটের ব্য়াপারে জানি। যখন গার্লফ্রেন্ডের ফোন বিজি থাকে, তখন অনেক সময় বয়ফ্রেন্ড বলে ফেলে, স্ক্রিনশট পাঠাও। এটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: সংস্কারের আশ্বাস, আত্রেয়ীর রাইখর মাছ ফের পাত পেড়ে?
আপনার গার্লফ্রেন্ডের নিজের জীবন রয়েছে, তার বন্ধুবান্ধব রয়েছে। পরিবার রয়েছে। বয়ফ্রেন্ড বার বার স্ক্রিনশট পাঠাতে বললে সে মনে করবে সঙ্গী তাকে বিশ্বাস করে না।
প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা
ছেলেরা হামেশাই এই ভুলটা করে ফেলে। নিজের গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকার তুলনা করে বসে। রসিকতা করে করলেও সেটা ঠিক নয়। এর ফলে আপনার পার্টনার আঘাত পেরে পারেন। এমন করলে সম্পর্ক ভাঙবেই।
তোমার ওজন বেড়ে গিয়েছে
গার্লফ্রেন্ড সব সময় চায় তার বয়ফ্রেন্ড তার প্রশংসা করুক। সে নিজের স্বাস্থ্য় এবং ফিটনেস নিয়ে সব সময় খেয়াল রাখে। তবে অনেক সময় ভুল লাইফস্টাইল এবং অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে যায়। আর তখন তার বয়ফ্রেন্ড তার ওজন নিজে কথা শোনালে খারাপ তো লাগবেই।
আরও পড়ুন: পালিয়ে বিয়ে দিদির, মুন্ডু কেটে খুন করে ভাই ঝুলিয়ে দিল রাস্তায়
আপনি বয়ফ্রেন্ড হিসেবে তার বেড়ে যাওয়া ওজন সম্পর্কে জানাতে চাইলে তা ভাল করে বলুন বা বোঝান। তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলুন। তা না করে শুধু কথা শোনালে, মজা করলে আঘাত দেওয়া হবে।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসাহাসি
বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে হাসিঠাট্টা হবেই। তার ফলে রিলেশন আরও ভাল হয়। তবে সেসময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে মেয়েটির পরিবার নিয়ে কোনও রসিকতা না করা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙা পড়বে? প্রতিবাদ
তেমন করলে গার্লফ্রেন্ডের খারাপ লাগবেই। তাই এ ব্য়াপারে খেয়াল রাখা দরকার। তার পরিবার সম্পর্কে যেন রসিকতা না করা হয়।
ত্রুটি দেখানো
সব মানুষের কিছু গুণ থাকে, আবার দোষও থাকে। কেউ পুরো ঠিক নয়। যেমন অপনি, তেমন আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বাকিরাও। এবার আপনি যদি বার বার সে নিয়ে কথা শোনান, তা হলে স্বাভাবিক গার্লফ্রেন্ডের খারাপ লাগবে।
তাঁর কোনও ভুল থেকে থাকলে সেটা বোঝান। কোনটা ঠিক, সেটা জানান। তার বদলে কথা শোনানো মোটেই যুক্তিযুক্ত কাজ নয়। এমন চলতে থাকলে সম্পর্কে চিড় ধরবে। তা ভেঙেও যেতে পারে।
সব কিছুতে বাধা দেওয়া
এটাও একটা খারাপ দিক। এটা কোরো না, ওটা কোরো না বলা ঠিক নয়। এট পোশাক পরা যাবে না, এর সঙ্গে যেও না- বার বার বললে গার্লফ্রেন্ড দুঃখ পাবে।
মনে হবে আপনি তাঁর জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। তাঁরও তো স্বাধীনতা রয়েছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। এই জিনিসগুলো খেয়াল রাখেলই হবে। সমস্যা বা মনোমালিন্য দেখা দেবে না। সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে।