গরম যা পড়েছে তাতে শরীর ও মনকে ঠান্ডা রাখতে আইসক্রিম খাওয়া কিন্তু মাস্ট। আর আইসক্রিম খেতে ছোট থেকে বড় সকলেই ভালোবাসেন। গরম থেকে আসার পর বা তীব্র রোদে বেরিয়ে আপনাকে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল করে দেবে এই আইসক্রিম। তবে যতই এই আইসক্রিম খেতে ভালোবাসুন না আপনি। এই খাবারটি কিন্তু কোনও উপকারেই আসে না। বরং শরীরের ক্ষতি করে। আইসক্রিম এতটাই ক্ষতি করে যে শরীরে নানাবিধ রোগের উপদ্রব হয়।
বিশেষজ্ঞরা সেই সব খাবারকে বিষ হিসেবে গণ্য করে থাকেন, যা খাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে না হলেও আয়ু কমে চোখে পরার মতো। আর দুর্ভাগ্য়ের বিষয় আইসক্রিম তাদের মধ্যে অন্যতম। কারণ তুল্য মূল্য বিচারে জিভে জল আনা এই ডেজার্টটির যতটা না উপকারিতা, অপকারিতা তার থেকে অনেক বেশি। আর ৮ থেকে ৮০ যেহেতু এই খাবারটি খেতে ভালবাসে তাই আইসক্রিম সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: এই ৫ খাবার বেশিক্ষণ রান্না করবেন না, হয়ে যেতে পারে বিষাক্ত
ওজন বৃদ্ধি
যে যে উপকারণ দিয়ে সাধারণত আইসক্রিম বানানো হয়ে থাকে তাতে প্রচুর মাত্রায় স্টাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বিশেষ কিছু উপকারী এনজাইমের উৎপাদনে এবং স্ট্রেসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরের ওজন বৃদ্ধিও ঘটায়। আর একথা তো সকলেরই জানা আছে যে অতিরিক্ত ওজন মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ ওজন বাড়ছে মানে শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই রোগগুলি যে সবকটাই হঠাৎ মৃত্যু ডেকে আনে, সে সম্পর্কে নিশ্চয় সবাই জানেন। তাই ক্ষণিকের আনন্দ পাওয়ার জন্য শরীরের ওত বড় ক্ষতি করবেন না।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
হাফ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিমে কমবেশি ২৫ এম জি কোলেস্টেরল থাকে। তাহলে ভেবে দেখুন যে পুরো এক কাপ অথবা গোটা একটা আইসক্রিম বার খেলে কী পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে রক্তসরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে হটাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে প্রায়ই খাচ্ছেন ডিমের সাদা অংশ? বিপদ ডেকে আনছেন না তো
ডায়াবেটিস রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে
আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা শরীরে ক্যালরির মাত্রার বৃদ্ধি ঘাটায়। আর ক্যালরি যত বৃদ্ধি পাবে, তত ওজন বাড়বে। আর ওজন বাড়লে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।
মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আইসক্রিম খাওয়ার মাত্রা বেশ কিছু নার্ভের উপর এত খারাপ প্রভাব পরে যে ক্রণিক মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তিও কমে চোখে পরার মতো। তাই কম বয়সেই যদি নানাবিধ ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে আইসক্রিম খাওয়া কমান।