Dooars Butterfly Garden: ডুয়ার্স (Dooars)-এ বেড়াতে এসেছেন? তবে চলুন বেড়িয়ে আসি রংবেরঙের প্রজাতির দেশে। এখানে একবার এলেই আপনার দেহ জুড়ে লুটোপুটি খাবে হরেক প্রজাপতির ঝাঁক।
আপনার চোখ, কান, নাক, ঠোঁট ছুঁয়ে যাবে ওরা। ওরা এখন দিনভর ব্যস্ত এক ফুল থেকে অন্য ফুলের রেণু আদান প্রদানে। আর আপনার অপেক্ষায়। ভাবছেন কোথায় পাওয়া যাবে হরেক রঙের এই প্রজাপতিদের?
চিন্তার কোনও কারণ নেই। বক্সা টাইগার রিজার্ভ (Buxa Tiger Reserve)-এর রাজাভাতখাওয়া এলেই দেখা মিলবে বক্সা বন দপ্তরের এই প্রজাপতি পার্ক (Butterfly Garden)-এর। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পার্কে প্রবেশ করেই নিমিষেই কয়েক ঘন্টা কেটে যাবে ওদের বাহারি রঙের ছটায়।
তবে শর্ত আছে। ওদের বসত ভিটায় প্রবেশ করে ওদের ধরাও যাবে না, ছোঁয়াও যাবে না। শুধু চোখের তৃপ্তি। ধরলে এবং ছুঁলে নেমে আসতে বন্য আইনের আওতায় পড়ার বিপদ। তবে চাইলে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করা যেতেই পারে। তাতে অবশ্য কোন বারণ নেই। প্রজাপতিদের সঙ্গে কাটানো মিষ্টি সময় ফ্রেম বন্দি করে রাখতে তৈরি করা হচ্ছে একটি সেলফি জোন।
জাঁকিয়ে ঠান্ডা পরলেই ওদের বৈচিত্র্য ভাঁটা পড়বে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগে আগামী অন্তত ১ মাস গড়ে দিনে প্রায় ১০০ প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলছে পার্কে। প্রজাপতি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক।
উল্লেখ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) আগাগোড়াই প্রজাপতিদের স্বর্গদ্যান, অবাধ বিচরণ ভূমি। এখনও পর্যন্ত বক্সা টাইগার রিজার্ভের রেকর্ডে ৪০০ প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলেছে।
বক্সা (Buxa Tiger Reserve)-র প্রজাপতিদের নিয়ে লেখা হয়েছে বেশ কিছু ছোট বড় বই। শুধুমাত্র রাজাভাতখাওয়া বাটারফ্লাই পার্কে। ধরা পরেছে ১৪০ প্রজাতির প্রজাপতি।
বন দপ্তরের সহযোগিতায় নেচার মেটস নেচার ক্লাব এই মুহুর্তে উত্তরবঙ্গে ৩ টি প্রজাপতি পার্ক (Butterfly Garden) সক্রিয় রেখেছে। বাকি দুটি রয়েছে গরুমারার রামসাই ও রায়গঞ্জের কুলিকে। নেচার মেটসের সচিব অর্জন বসুরায় বলেন, প্রজাপতি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তবে প্রজাপতি পার্কে এলে মানুষ প্রজাপতিকে ভালভাসতে বাধ্য হবে। পার্কে এসে প্রজাপতিদের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে একটি বড় ভূমিকা থাকছে পার্কের।
এদিকে, ব্লু টাইগার, কমন ক্রো, স্ট্রাইপ টাইগার, গ্রেট এগফ্রাই, কমন বার্ড উইং, গ্রে প্যাঞ্জি, পিকক প্যাঞ্জি, চকলেট ডেমনদের ছোট্ট পার্কে একঘণ্টা ঘুরলেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। গত ৪ বছরে একটানা পার্কে প্রচুর হোস্ট প্ল্যান্ট,নেকটর প্ল্যান্ট লাগানো হয়েছে।যার মধ্যে রয়েছে লেবু, কদম, মুসান্ডা, কারিপাতা, অতশী, এলমেন্ডা, কুফিয়া, রঙ্গন, পাউডার পাফের মতো গাছ। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে বাহারি পতঙ্গের বৈচিত্র।