Bankura Patrasayer Street Art: যেন দেওয়াল দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন এক শিল্পী-শিক্ষক! এই যুদ্ধে সঙ্গী একদল পড়ুয়া। দিনরাত একের পর এক দেওয়াল সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সেই দল।
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়েরের দাসপাড়ায় এমন দেওয়াল-যুদ্ধ চলছে। সেখানকার অলি-গলি দেখে মন জুডি়য়ে যাবে। দেওয়াল থেকে উঁকি মারছে বিড়াল, পাশে শ্রীকৃষ্ণের লীলা, পাত্রসায়রে এমনই ছবি দেখা যাবে।
শিল্পীর মরমি স্পর্শে যেন কথা বলছে দেওয়াল। পথচারী থমকে যাবেন। ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে এই সামাজিক আন্দোলেন নেমেছেন শিল্পী অনন্ত দে।
তাঁর দলের সদস্যদের কেউ মাধ্যমিক দিয়েছে, কেউ মাধ্যমিক দেবে, কেউ ক্লাস ৮, কেউ ক্লাস ৫। তবে উৎসাহে একে অপরকে টেক্কা দেয়!
তাঁদের আঁকার শিক্ষক কথা দিয়েছিলেন আঁকা শেখানোর পাশাপাশি বড়সড় মঞ্চ তৈরি করে দেবেন। সে কাজে নেমে পড়েছেন সকলে।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রয়েছে শুভজিৎ, অম্লান, দেবজিৎ, রিজু, সায়ন,সন্দিপ, শুভদীপ শ্রেয়া,অরিত্রী, পৌলমী,প্রিয়া,বন্যা, অহনা। মাস তিনেক ধরে সেই কর্মযজ্ঞ।
শুক্রবার অনন্ত দে বলেন, "বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী, যাদের বড়সড় প্ল্যাটফর্ম দরকার ছিল। শুধু থাকায়-কলমে প্রশিক্ষণ পোষাচ্ছিল না। শেখানোর মতো। তাই চিন্তা করলাম বড় ক্যানভাস দরকার। আর কম খরচে। তখন মনে হল সেটা হল দেওয়াল।"
আরও পড়ুন: ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষায় গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে প্রশ্ন, ক্ষমা চাইল সিবিএসই
আরও পড়ুন: নলেন গুড়-ছানার প্রেমে তৈরি মাখা সন্দেশে মজে বাঙালি
আরও পড়ুন: Monalisa ফ্লোরাল শর্ট ড্রেসে জলের ধারে আবেদনের ঢেউ তুলেছেন, দেখুন
মাস তিনেক ধরে শুরু হয়েছে এই রঙের যুদ্ধ। তা শুরু হয় যামিনী রায়ের জন্মদিবসে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। তাঁর আঁকা বেশ কিছু ছবি দেওয়ালে তুলে ধরেছেন।
রয়েছে রামায়ণের বিভিন্ন অংশ। রাম এবং রাবণের যুদ্ধ, সীতা হরণ, রাবণ এসেছে সীতাকে হরণ করতে, বনবাস, অশোককাননে সীতা, সে সব দৃশ্য। এগুলো যামিনী রায়ের ছবির থেকে অনুপ্রাণিত।
পাত্রসায়েরের দেওয়ালে শ্রীচৈতন্য, মহাদেব নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। কোনও ভাঙা দেওয়াল থেকে উঁকি মারছে বিড়াল।
বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়েদার কোট, ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে। কাঁচা দেওয়ালে ডিস্টেম্বার, স্টেনার।